বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সুনামগঞ্জে অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে হাজারো জনতা। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষ অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে অবহেলিত সুনামগঞ্জ জেলায় উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকেও অভিনন্দন জানায় জনতা। আনন্দ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ আব্দুর রউফে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আনন্দ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তহুর আলী, পরিকল্পনামন্ত্রীর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দে, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণ, ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম শিপন, রয়েল আহমদ, ইমরান হোসেন প্রমুখ। আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ অংশ নেন।
বেলা ১২টায় শান্তিগঞ্জ মৎস্য হ্যাচারি থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে বের হন বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সাধারণ জনতা। মিছিলটি হ্যাচারি থেকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তিগঞ্জ মোড়ে এসে জনমাবেশে অংশ নেন জনতা।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন গোপালগঞ্জের মানুষের উন্নয়ন হলে সুনামগঞ্জেরও উন্নয়ন হবে। তাই তিনি দু’হাত ভরে সুনামগঞ্জে উন্নয়ন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, বারটান, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সড়ক, সেতু, রেললাইন সম্প্রসারণসহ নানামুখি উন্নয়নে বদলে দিচ্ছেন সুনামগঞ্জকে। আমাদের নেতা এমএ মান্নানের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছি।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের মানুষকে ভালবাসেন, তিনি হাওরের উপর দিয়ে উড়াল সড়ক করে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে চান। কেবল ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা নয়, প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেন, আমরা তাঁকে অনুসরণ করি। তিনি বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে সুনামগঞ্জের সকল মানুষকে এক থাকতে হবে। কোন আঞ্চলিকতা নয়, সুনামগঞ্জ শহর থেকে স্থাপনায় স্থাপনায় আমরা শান্তিগঞ্জ-পাগলায় যুক্ত করতে চাই। আমরা সুনামগঞ্জি, এটাই আমাদের বড় পরিচয়, একতাবদ্ধ থাকবেন, কোন উস্কানিতে কেউ কান দেবেন না। বেঁচে থাকলে বদলে দেব সুনামগঞ্জকে। যতদিন বাচি ততদিন সুনামগঞ্জের উন্নয়নেই কাজ করব বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।