স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের বিষয়ে জরুরি সভা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভায় দলের তিনজন সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ৬০ জন নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে এ বিষয়ে মতামত দেন।
সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সুনামগঞ্জে অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এর নেপথ্য কারিগর পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকেও অভিনন্দন জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বৃহত্তর স্বার্থে চারটি উপজেলার মোহনা দেখার হাওরের আসানমারা সেতুর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দলীয় মতামত দেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী মহলসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের দৃষ্টিগোচর করা হবে বলেও আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি বলেন, আসানমারা সেতুটির পূর্বের অংশের দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আমরা দলীয়ভাবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে মতামত দিয়েছি। বৈঠকে উপস্থিত সবাই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের পাশাপাশি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতকের অংশও ছুঁয়ে যাবে। আবার সহজে দিরাই-শাল্লা-জামালগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুরবাসীর জন্য সুবিধাজনক স্থান হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক, জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, সহসভাপতি এডভোকেট ড. খায়রুল কবির রোমেন, সহসভাপতি মো. শফিকুল আলম, রেজাউল করিম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নান্টু রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, কোষাধ্যক্ষ ইশতিয়াক শামীম, আ.লীগ জেলা কমিটির নেতা করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, শামীম আখঞ্জী, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
বৈঠকে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, শান্তিগঞ্জের যে স্থানটিতে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার কথা ছিল সেটির অন্য পাশেই চারটি থানার সংযোগ আছে এমন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা দলীয়ভাবে মতামতি দিয়েছি। আশা করি সবাই এটি বৃহত্তম স্বার্থে মেনে নিবেন। কারণ যেখানে আমরা স্থান নির্ধারণে মতামত দিয়েছি সেখানে সরকারের প্রচুর খাসজমি রয়েছে। এতে সরকারের বিশাল অংকের টাকা বেঁচে যাবে।