দিরাই প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন নিয়ে ফেইসবুকে এলাকার চিহ্নিত রাজাকার পুত্রের পৃষ্টপোশকতায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা ও পৌর যুবলীগ। রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে লিখিত প্রতিবাদ লিপি সরবরাহ করা হয়। দিরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগ নেতা বিশ^জিৎ রায়, কামরুজ্জামান কামরুল, লালন মিয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি সারোয়ার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়াসহ শতাধিক নেতাকর্মী স্বাক্ষরিত লিখিত প্রতিবাদলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, বিগত ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিরাই উপজেলা ও পৌর যুবলীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। এর পুর্বে প্রতিকৃতি বেদীর সামনের উঠোনে পুস্পস্তবক নিয়ে গ্রæপ ফটোসেশন করেন নেতাকর্মীরা। পরদিন গ্রæপ ফটোসেশনের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘জুতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানালো নামধারী যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা’ বলে নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার চালাতে থাকে আহমেদ জানে আলম নামে এক ব্যক্তি। সে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নগদীপুর গ্রামের ইয়সির মিয়ার পুত্র। এরপরদিন নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তাকে এবং তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নামে কুৎসা রটায়। আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দেশবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তা ফেইসবুকে ভাইরাল করে। তার এই স্টেটাসগুলো নিজের আইডি থেকে বার বার শেযার দিয়ে ভাইরাল করতে সহযোগীতা করেন স্থানীয় যুদ্ধাপরাধী মৃত আব্দুস সালামের পুত্র বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী মতিউর রহমান মতি। অপপ্রচারকে আওয়ামী পরিবারের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী ও রাজাকার উত্তরসূরীদের ঘৃন্য ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ লিখিত প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেন, অপপ্রচারকারী জানে আলমের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে ছাত্রদলের কর্মী ছিল। ছাত্রলীগের কোন শাখা কমিটিতেই তার সদস্যপদ নেই। রাজাকার পুত্র মতিউর রহমান নিজের প্রচারের জন্য আইটি বিষয়ে দক্ষ জানে আলমকে কাছে টেনে নেন। স্যোশাল মিডিয়ায় নিজের পক্ষে প্রচারণার কাজে লাগান। সেখান থেকে মতিউরের পৃষ্টপোষকতায় স্থানীয় আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ও নৌকার বিরোধীতাকারীদের সান্নিধ্যে আসা জানে আলম বেপরোয়া হয়ে উঠে। আওয়ামী পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করতে থাকে। সম্প্রতি সিলেট এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী রবিউলকে পালিয়ে যেতে ম্যাসেঞ্জারে তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে জানে আলম। তাদের ওই গোপন কথোপকথনের স্কীনশর্ট ফেসবুকে ভাইরাল হলে, স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে তার শাস্তির দাবী জানায়। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এঘটনা সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয় উদঘাটন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।