বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৪টি গ্রামের চলাচলের একমাত্র সড়কটির সংস্কার কাজ ফেলে রাখার প্রতিবাদে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী ভাঙ্গা সড়কের পাশে দাড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন। বুধবার দুপুরে মোহনপুর গোরস্তানের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে পৈন্দা, জয়নগর ও মোহনপুর গ্রামের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, জয়নগর-পৈন্দা সড়কের সংস্কার কাজটি প্রায় চার বছর আগে পায় সুনামগঞ্জ শহরের দুইজন প্রভাবশালী ঠিকাদার। যথা সময়ে কাজ না করেই তারা বেশিরভাগ বিল উত্তোলন করে। এক বছর মেয়াদের এই কাজের বয়স এখন প্রায় চার বছর। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ঠিকাদারদের চিঠি দিয়ে কাজটি শেষ করার নির্দেশ দেয় ২০১৮ সালে। কিন্তু কাজটি সম্পন্ন করেনি। পরে আরো একাধিকবার কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়ে পত্র দেয় প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু জবাব না দিয়ে সময় ক্ষেপন করে প্রভাবশালী রাজনৈতিকদের দিয়ে বিল তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া করেন ঠিকাদার। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ঠিকাদারের ওই কাজটি বাতিলের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে চিঠি দেন। ওই চিঠির পর ঠিকাদাররা একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিকে দিয়ে কাজ বাতিল না করতে তদবির করে। এতে ঠিকাদাররা সফল হয়। কাজটি আর বাতিল হয়নি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও নির্ধারিত কাজ করা হয়নি। তাই সড়কটি আরো বেহাল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরপর চারটি বন্যায় আরো ক্ষতি হয় সড়কটির। এখন এই সড়কটি দিয়ে জয়নগর, মোহনপুর, শান্তিপুর, পৈন্দা, তাজপুর, বাণীপুর, বর্মাউত্তর, উজান রামনগর, রাশনগর, নৌকাখালিসহ ১৪টি গ্রামের সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ আছে। এলাকাবাসীকে ২০ মিনিটের পথ এখন এক ঘন্টায় মদনপুর পয়েন্ট হয়ে আসতে হচ্ছে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা অবিলম্বে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে এলাকাবাসীর সহজ যাতায়াতের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে একই দাবিতে গত সপ্তাহে এলাকার সচেতন যুবসমাজ রাস্তাটির সংসারের দাবিতে ভার্চুয়াল প্রতিবাদ করেন।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, তানভীর আহমদ জনিক, তারিকুল ইসলাম সেলিম, মোঃ রইসুজ্জামান, অলিউর রহমান, স্কুল শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া, তালেবুল ইসলাম, আব্দুল মছব্বির, স্বাধীন মিয়া, কৃষক ফকির আহমদ, রেজাউল আলম, ইসলাম উদ্দিন, নবী আহমদ, মাওলানা খলিলুর রহমান, আব্দুল আজিজ, আশিক মিয়া প্রমুখ।