স্টাফ রিপোর্টার::
পাউবোর বাঁধ ভেঙ্গে, বাধ উপচে এবং পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে জেলার প্রায় ২০টি হাওরের ফসল ডুবে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে সরকারি হিসেবে ৮২ কোটি টাকার ক্ষতির কথা স্বীকার করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৯ টায় সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ জাহেদুল হক জানিয়েছেন, বৃগষ্পতিবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮২ কোটি টাকা। হাওরে পানির চাপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ৩ হাজার কোটি টাকার ফসলই এবার নষ্ট হবে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে শনিবার দিরাই উপজেলার চাপতি ও বরাম হাওর, পার্শবর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের শালিকা, ডোমাখালি ও মাছুয়াখালি বাঁধ ভেঙ্গে শনিবার হাওরটি তলিয়ে গেছে। কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের মতে গত বৃহষ্পতিবার থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার হেক্টরের বোরো ধান তলিয়ে গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।
কৃষি বিভাগের মতে বাঁধ ভেঙ্গে, বাঁধ উপচে ও জলাবদ্ধতায় দেখার হাওরের ১৫০০ হেক্টর, খরচার হাওরের ৮০০ হেক্টর, কঙ্কার হাওরের ২৫০ হেক্টর, নলুয়ার হাওরের (আংশিক) ২০০ হেক্টর, সাথারিয়া, পাথারিয়া সহ আরো কয়েকটি হাওরের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর বোরো ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ বলেন, এবছর ধান পাকার আগেই একমাত্রও বোরো ফসল হারিয়ে কৃষকরা দিশেহারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলায় ফসলরক্ষা বাধ বৃষ্টি ও ঢলের প্রথম চাপ সামলাতে পারেনি। যার ফলে বাধ ভেঙ্গে ফসলহানি ঘটেছে। আমি গত ১৫ দিন আগেও পাউবোকে অভিযোগ করার পর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।