সাইফ উল্লাহ::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় হালির হাওয়রে রাঙ্গিয়া নামক স্থানে হাওয়র পারের গ্রামেসর কৃষক কৃষাণির বাঁধ নির্মানে সেচ্ছা শ্রমে দিনভর মাটি কাটছেন । প্রায় ২/৩দিন যাবৎ সোনালী ফসল রোর ধানের জমি অতি বৃষ্টির পানিতে ডুবোডুবো অবস্থা। আবার পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাউবো মেরামতকৃত হাওয়র রক্ষাবাঁধ দূর্বল হওয়ায় গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ সেচ্ছায় বাঁধে কাজ করছেন। তাদের সাথে সমবেদনা দেখাতে সাচনা বাজার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের চলন্তিকা সমিতির উদ্যোগে কৃষক কৃষাণিদের মাঝে হাওর রক্ষা বাঁধের কর্মরত শ্রমিকদের ও শুকনা খাবার চিড়া গুড় এবং বাঁধ মেরামতের জন্য বস্তা প্রদান করাে হয়েছে। এ সময় সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি ও জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমান, সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাবিল মাহমুদ, কোষাধাক্ষ্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ছোটন) সহ কোষাধাক্ষ্য মোঃ নূর আলম ও সদস্য মোঃ ইয়ার হুসেন প্রমুখ।
অপরদিকে গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার চক্রবর্তী সারাদিন পাকনার হাওয়রের বিভিন্ন রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে ফেঁনারবাঁক ইউনিয়নের শান্তিপুর সংলগ্ন কানাইখালি নদিতে একপক্ষ বাঁধ দেওয়ায় অপর পক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার হাওয়র রক্ষা বাঁধ তদারকির দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ শফিউল আলম (এডিসি শিক্ষা)এ সময় উপস্থিত সকলকে নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার চক্রবর্তী সাথে আরও ৩/৪জন কর্মকর্তাকে নিয়ে সরজমিনে গিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে পরামর্শ দেন। পরদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কৃষি অফিসার ড:সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকি সহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সরজমিনে খোঁজ নেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার চক্রবর্তী বলেন বিকল্প ডালিয়া সুইস গেইট খোলে দিলে সমস্যার নিরসন হবে কি না এ ব্যাপারে জেলা পাউবো ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি,তিনি সিদ্ধান্ত দেওয়ার অপেক্ষায় আছি। এ নিয়ে ফেঁনারবাঁক ইউনিয়নের এক অংশের কৃষকগন ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন।