বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে অভিনন্দন জানিয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জে স্মরণকালের বৃহত্তম সুধী সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আব্দুজ জহুর সেতুর পশ্চিম তীরে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ উপলক্ষে জেলা পরিষদ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও সমমনাদলসহ দলমত নির্বিশেষে সুধীসমাজ এই সমাবেশে অংশ নিবেন।
জানা গেছে হাওরাঞ্চলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দরদ থাকাকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজসহ বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। জেলার বৃহত্তম উন্নয়ন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে সদরে স্থাপনের আন্দোলনে নামেন জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। প্রথমে তিনি একা এই আন্দোলন করলেও পরবর্তীতে স্থান নির্ধারণ নিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বদলে দেখার হাওরের উত্তর-পূর্ব তীরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ তাৎক্ষণিক সভা করে রেজুলেশন করে। জানা গেছে কোন এলাকার উন্নয়ন বিষয়ে মতদ্বৈতার কারণে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে রেজুলেশনের কোন ইতিহাস নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই রেজুলেশনসহ স্থানীয় ৫ জন সংসদ সদস্য একই ভাষায় মহান জাতীয় সংসদে সংশোধনীর প্রস্তাব দেন। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমকে অস্বীকার করে জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এবং আওয়ামী লীগ নেতারা বলতে থাকেন ‘বিশ্ববিদ্যালয় কোন মন্ত্রী-এমপির দান নয়, হাওরবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার’। তারা পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে আরো নানাভাবে বিষোদগার করেন। এ ঘটনায় মর্মমাহত হন জেলার সুধীজন। অবহেলিত সুনামগঞ্জ জেলার মাইলফলক উন্নয়নে তার ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই বলে তারা মন্তব্য করেন।
সজ্জন রাজনীতিবিদ এমএ মান্নানের প্রতি এমন অবহেলা ও বিষোদগারের সুধীজন মর্মাহত হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের নেপথ্য কারিগর পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে সংবর্ধনার উদ্যোগ নেয়। এতে সায় দেন জেলার বিভিন্ন স্থানের সুধীজন। জনমত নিয়ে জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে সংবর্ধনার মাধ্যমে সুধীসমাবেশের উদ্যোগ নেয়। তারা জেলার উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে সম্মাননা জানানোর এ উদ্যোগের প্রশংসাও করেন।
এদিকে সমাবেশ সফল করতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট তার বিশাল কর্মী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছেন। তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হাজারো নেতাকর্মী প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমাবেশ সফল করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার দলমত নির্বিশেষে গ্রহণযোগ্য সুধীজনকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সমাবেশে প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষের উপস্থিত রাখতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সরেজমিন সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন নূরুল হুদা মুকুট। তিনি সমাবেশস্থলের পেন্ডাল আরো প্রশস্থকরণ ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আয়োজনে যাতে কোন ত্রুটি না থাকে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে সমাবেশে যাতে মানুষজন না আসে এমএ মান্নানের উন্নয়ন বিরোধী একটি চক্র নানা অপপ্রচারও শুরু করেছে। এ ঘটনা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সৎ ও যোগ্য মানুষদের ¯েœহ করেন। আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান তার প্রমাণ। তিনি যোগ্য মানুষকে দায়িত্ব দেওয়ায় নেত্রীর কাছ থেকে বড় বড় উন্নয়ন নিয়ে আসছেন। তাকে আমরা যত বেশি সহযোগিতা ও ভালোবাসা দেব তত আমাদের জেলার মঙ্গল। কারণ জেলার সব মানুষ মনে করে পরিকল্পনামন্ত্রী না পেলে আমরা এমন উন্নয়ন পেতামনা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারের মেঘা উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীকে সংবর্ধনার উদ্যোগ নিয়েছি।