স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া বাসের হেল্পার আব্দুর রশিদকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আব্দুর রশিদ ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূর এর আদালতে হাজির করার পর সেখানেই সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বাসের হেল্পার আব্দুর রশিদ জেলার ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গিরচর গ্রামের হাবিব আহমদের ছেলে। ২৮ ডিসেম্বর সোমবার ভোররাতে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাস মালিকের সহায়তায় ছাতক উপজেলার বুরাইরগাঁও গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে আব্দুর রশিদকে আটক করেছিল। তবে এ ঘটনার মূল হোতা বাস চালক সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লরগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে শহিদ মিয়াসহ তার অফর সহযোগী এখনো পলাতক রয়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে সিলেটের লামাকাজি থেকে দিরাইয়ের মজলিশপুরে বাড়িতে আসছিল ওই ছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে যাত্রীবাহী বাসের সব যাত্রী নেমে গেলে তাকে একা পেয়ে চালক ও হেলপার কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই সম্ভ্রম বাচাতে লাফিয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। স্থানীয়রা তাকে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ দিকে এ ঘটনায় ওই দিনই দিরাইয়ে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষজন। তাছাড়া পরদিন সুনামগঞ্জ শহরেও বিক্ষোভ হয়। এঘটনায় শনিবার রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদসহ তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সোমবার ছাতক থেকে হেল্পার আব্দুর রশিদকে আটকের পর আজ সুনামগঞ্জে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান, সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন। তিনি বলেন, আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।