স্টাফ রিপোর্টার::
ভাতার দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সুনামগঞ্জের বিশেষ প্রতিনিধি:: ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৯ বছর পরও ভাতা পাচ্ছেনা সুনামগঞ্জের শহীদ পিযোশের পরিবার। জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কাইতকোনা (কায়স্তকোনা) গ্রামের এই বীর সেনানী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার দলইরগাঁও নামক স্থানে পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। কাইতকোনা গ্রামের স্বর্গীয় টিকেন্দ্র সরকারের একমাত্র পুত্র পিযোশ কান্তি সরকার চমক। একমাত্র ছোট বোন ঝর্না রানী সরকার,মাতা কল্যানী সরকার ও পিতা টিকেন্দ্র সরকারকে বাড়িতে রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবাণে সাড়া দিয়ে এবং ১৯৭০ সালে নির্বাচিত এমএনএ আব্দুল হকের উদ্যোগে অনুপ্রাণীত হয়ে ২৭ এপ্রিল ভারতের মেঘালয় প্রদেশের ইকোয়ানে বিক্রুট শেষে ২৮ দিনের ট্রেনিং নিয়ে ৫নং সেক্টরের অধীনস্থ ভোলাগঞ্জ সাবসেক্টরের অধিনায়ক লেঃ তাহির উদ্দিন আখঞ্জির নেতৃত্বে বিভিন্ন রনাঙ্গনে কৃতিত্বের সাথে লড়াই করেন।
একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মহেন্দ্র কুমার দাশ,বাশখলা গ্রামের আজাদ মিয়া,ছাতকের গোলাম মোস্তফা ও কবীর উদ্দিনসহ আরো অনেক সহযোদ্ধারা শহীদ পিযোশের স্মৃতিকে লালন করে চলেছেন। যাদের প্রচেস্টায় ০৫০২০২০৩৪৩ নম্বরে মুক্তিবার্তা তালিকায় এই শহীদের নামটি তালিকাভূক্ত হয়। কিন্তু তালিকায় নাম থাকার পরও শহীদ ভাইয়ের একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে বেঁচে থাকা বোন ঝর্না সরকার শহীদ ভাইয়ের নামীয় ভাতা পাচ্ছেননা। শহীদ ভাইয়ের নামে ভাতা মঞ্জুরীর জন্য তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক (কল্যাণ) বরাবরে আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনটির ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এ ব্যাপারে ছাতক পৌরসভার বাঁশখলা গ্রামের মৃত শরীয়ত উল্লাহর পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজাদ মিয়া বলেন, পিযোশ কান্তি সরকার চমক আমার সহযোদ্ধা ছিলেন। তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে রনাঙ্গনেই শহীদ হয়েছেন। তাঁর একমাত্র ছোট বোন আবেদন করতে করতে বার্ধক্যর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। শহীদের বোন ঝর্না সরকার আক্ষেপ করে বলেন,আমি আমার জীবদ্ধশায় যদি শহীদ ভাইয়ের স্বীকৃতি বা ভাতা না পাই,তাহলে আমার মরনের পরে শহীদের স্বীকৃতি পেয়ে কোন লাভ আছে কি ? আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার শহীদ ভাইয়ের স্বীকৃতিসহ তাঁর নামের বরাদ্দকৃত ভাতা প্রদানের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।