স্টাফ রিপোর্টার::
করোনা মহামারির কারণে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে বই উৎসব হয়নি। তবে স্কুল গুলোতে অভিভাবকদের ভিড় ছিল। মাস্ক পড়ে প্রিয় সন্তানের বই নিতে এসেছিলেন তারা। করোনার কারণে অভিভাবকরা সেতুবন্ধন রূপে বই পৌঁছে দিয়েছেন প্রিয় সন্তানের হাতে। ঘরে বসেও নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল কোমলমতি শিশুরা।
সুনামগঞ্জ শহরের জামাইপাড়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন লিমন। তার ছেলে মহসিন আশরাফ ইয়াসিন কালিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। এবার প্রাক প্রাথমিক থেকে প্রথম শ্রেণিতে ওঠেছে সে। ইচ্ছে ছিল স্কুলে এসে নতুন ঝকঝকে বই নিবে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শুকে হারিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তার হয়ে পিতা লিমন স্কুলে আসেন বই নিতে। মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার ছিল তার। প্রধান শিক্ষিকা নমিতা সরকার অভিভাবকের হাতে তুলে দিলেন বই। এসময় স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র প্রিয়তা বণিকের বাবাও আসেন নতুন বই নিতে। তিনিও মেয়ের হয়ে নতুন বই গ্রহণ করেন। এভাবে শহরের স্কুল গুলোতে সন্তানের হয়ে বই নিয়েছেন অভিভাবকরা। তবে গ্রামের স্কুলগুলোতে ভিন্ন চিত্র বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বারণ সত্ত্বেও স্কুলে এসে নতুন বই নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোশারফ হোসেন জেলায় এ বছর প্রায় পোনে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌছে দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছি। আমরা বছরের প্রথম দিনেই অভিভাবকদের মাধ্যমে প্রিয় শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌছে দিয়েছি। জেলার প্রতিটি উপজেলায়ই বই বিতরণ করা হয়েছে।