স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত বাস চালক শহিদ মিয়াকে ২ জানুয়ারি শনিবার ভোরে সুনামগঞ্জ পুরাতন বাসস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ। কলেজ ছাত্রীর বাবার দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সে। শনিবার ভোরে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ পুরাতন বাসস্টেশনে এসে নামার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ছাতকের বুরাইরগাও থেকে বাসের হেলপার রশিদ আহমদকে স্থানীয়দের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছিল পিবিআই।
গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন মজলিমপুর গ্রামের কলেজ ছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী ওই বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। এসময় চালক ও হেলপার কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পুলিশও বাসটি জব্দ করে। এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘনটার দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদকে আসামী করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনায় জড়িত বাসচালক শহীদ মিয়াকে সিআইডি পুলিশ নানা কৌশলে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এনে ভোর ৬ টায় সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে সিআইডি এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি।