স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দেখার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ না করে জলমহালের মালিকদের সঙ্গে আতাত করে প্রকল্পের বাইরে ১ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার ফসলরক্ষা বাধ নির্মাণের ঘটনায় আদালতের দায়েরকৃত মামলার পর অবশেষে দুদক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে কাজের পরিমাপ করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গেছে এবার এই দুর্নীতির কারণে ফেসে যেতে পারেন ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক ও এসডি আশরাফুল সিদ্দিকী ও সার্ভেয়ার আতিক।
জানা গেছে ২০১৮ সনে দেখার হাওরের ফসলরক্ষায় বাধ নির্মাণ না করে মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী আশরাফুল সিদ্দিকী এবং সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান যোগ সাজসে হাওররক্ষা বাধের টাকায় নিয়মবহির্ভূত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। তারা দেখার হাওরের মহাসিং নদীর তীরের নির্ধারিত বাধ নির্মাণ না করে চেয়ারম্যান নূরুল হকের ঘনিষ্ট একটি জলমহালের মালিকের সঙ্গে আতাত করে প্রকল্পের বাইরে দরিয়াবাজ গ্রামের উত্তর-দক্ষিণ পর্যন্ত বাধ নির্মাণ করে। এই বাধ নির্মাণের ফলে একটি বড় জলাশয় সৃষ্টি হয়। এতে জলাশয়ের ইজারাদারের আর্থিক লাভ হয়। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন কৃষকরা। তারা আন্দোলন করেন। পরে এলাকার কৃষকের স্বার্থে কয়েকজন কৃষক জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুদককে নির্দেশ দেন।
সিলেট দুদকের উপসহকারি পরিচালক জুয়েল মজুমদার ও সহকারি পরিচালক সানোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার দুপুরে দরিয়াবাজ গ্রামে এসে কাজের পরিমাপ করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়রা অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা ঘটনা তুলে ধরেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনা আমি আসার আগের। তাই এ বিষয়ে কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে দুদকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা ঘটনা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।