মাহতাব উদ্দিন তালুকদার::
দক্ষিন সুনামগঞ্জের উজানীগাও গ্রামে জ্যাঁ কর্তৃক প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রক্তিনা বেগম নামের এক নারী। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় পৌর বিপনী ২য় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রক্তিনা বেগমের ভাসুর আক্রম আলী, মখদ্দুছ আলী, ননদ জোসনা বেগম, সেনোয়ারা বেগম।
রক্তিনা বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার জ্যাঁ কর্তৃক আমি প্রতিনিয়ত শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। গত ১বছর ধরে আমার বাসার মুল গেইট বন্ধ করে একটি ছোট্ট কক্ষে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য করেছেন। আমার বসতঘরের বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বাথরুমে তালাবদ্ধ, পানির পাইপ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। আমাকে ঘর থেকে বিতাড়িত করতে এসব করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন অসহায় মহিলা। আমার ৫ বছরের এক পুত্র সন্তান নিয়ে বন্দি মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার স্বামী রবিউল আওয়াল দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রবাসে আছেন। আমার স্বামী ও ভাসুর দু’জন মিলে তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে পিতার সম্পত্তিতে দুই পর্শনের একটি পাকা দালান তৈরী করেছিলেন। আমরা ওই বাসাতেই অবস্থান করছি। বিগত ৬/৭ বছর যাবৎ ঐ বিল্ডিংয়ে আমি ও আমার জ্যাঁ পপি বেগম পৃথকভাবে বসবাস করছি। গত ১ বছর পুর্বে আমার স্বামী পপি বেগমের নামে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিলে আমার প্রতি আক্রোশ্বান্বিত হয়ে আমার উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।