1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

ক্যান্সারের ওপর বেশি করে গবেষণার গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ৫.১৮ পিএম
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

বাসস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশেষ করে ক্যান্সারের ওপর আরো গবেষণায় গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ুর সাথে ক্যান্সার কিভাবে বিস্তার লাভ করে সেজন্য গবেষণা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গবেষণার সুযোগ খুবই কম। বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা খুব বেশি একটা হচ্ছেনা। যেটা হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যান্সার এমন একটা রোগ এবং যেভাবে এর প্রাদুর্ভাব হচ্ছে তার সেভাবে ডায়াগনোসিস আমাদের দেশে হচ্ছে না। দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ুর সাথে এই ক্যান্সার কীভাবে বিস্তার লাভ করে সেটার চিকিৎসার জন্য যে গবেষণা দরকার সেটা আমাদের দেশে খুব কমই হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা আজ সকালে ‘কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চ’ নামে নারায়ণগঞ্জে একটি ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমুদিনী কমপ্লেক্স নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে সঙ্গে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর রিসার্চের জন্য অনেকগুলো ইনস্টিটিউট তৈরি করে দিয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে সেগুলোকে আরো উন্নত করার পাশাপাশি আরো নতুন ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। কারন গবেষণা আমাদের জন্য একান্ত অপরিহার্য।
শেখ হাসিনা বলেন, কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চ’ শীর্ষক এই সেন্টারটা যখন তৈরি হবে তখন এদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ মানুষ আরো ভালভাবে পাবে। কারণ দেশের সকল মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশের সকল বিভাগে অন্তত একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখানে রিসার্চের সুযোগ হবে। তবে, আমি মনে করি যে, বেসরকারি খাতকে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার নাতি এবং কুমুদিনী ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শ্রীমতি সাহা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট এবং এর প্রতিষ্ঠাতা রনদা প্রসাদ সাহার ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রচারিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ মে দানবীর রনদা প্রসাদ এবং তাঁর পুত্র ভবানী প্রসাদকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নারায়ণগঞ্জে তাদের বাসভবন থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তারা আর ফেরেনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ’৯৬ সাল থেকেই তাঁর সরকার বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেছে। শুধু তাই নয় বেসরকারি খাতে হাসপাতাল করতে যেসব যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় বা সরঞ্জমাদির প্রয়োজন হয় সেগুলোকে ট্যাক্স ফ্রি এবং ট্যাক্স কমিয়ে দেয়া হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠায় যেমন সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, এমনকি শিশুদের জন্য ইনকিউবেটরসহ যা যা প্রয়োজনে সেগুলোও আমি সম্পূর্ণ ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছিলাম। যে কারণে আমাদের দেশে অনেকগুলো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে, এখানে কুমুাদনী ট্রাস্ট সব সময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে এবং সব থেকে বেশি উদ্যোক্তা তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই যেটা উদ্যোগ কুমদিনী ট্রাস্ট নিয়েছে তা অত্যন্ত সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেজন্য আমি কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং বিশেষ করে স্রীমতি সাহা এবং রাজিব সাহার প্রতি। কেননা দাদা এবং বাবার কাজ গুলো এখনও যে ধরে রেখেছেন এবং করে যাচ্ছেন সেই সাথে তাঁদের বোন এবং আত্বীয়-স্বজনরাও করে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকরাও গবেষণায় খুব একটা সময় ব্যয় না করে রোগী দেখেই সময় কাটান।
তিনি বলেন, ‘আসলে যাদের রিসার্চ করার কথা সেসব চিকিৎসকরা রোগী দেখতে এত ব্যস্ত কাজেই হাতে গোনা খুব কমজনকেই আমি দেখি তাঁদের পাবলিকেশন্স এবং রিসার্চ।’
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালেই জাতির পিতা প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ শয্যার একটি করে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা জনগণের একদম দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল।
তিনি বলেন, দেশ যখন স্বাধীনতার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুনভাবে এগিয়ে চলা শুরু করেছে তখনই ঘাতকচক্র ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে সেই অগ্রগতির চাকাকে স্তব্ধ করে দেয়। এর মাধ্যমে একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস আসার পরেই ৭ দিনের মধ্যে আমরা ২ হাজার ডাক্তার, ৬ হাজার নার্স এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো নিয়োগের পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য যা যা করা দরকার তাঁর সরকার তা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে আজকে করোনাভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ সময় প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহিতা কুমুদিনী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স বেরোনিকা ডি কস্তাকেও তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এক সময় টিকা দেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও এখন আর কোন সমস্যা নেই, সকলে আগ্রহ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বলে দিয়েছি ৪০ বছরের উপরে যারা তারা টিকা পাবে এবং আইডি কার্ড সাথে নিয়ে গেলে তারা ফর্ম পাবেন এবং রেজিস্ট্রৈশনও করতে পারবেন। গতকালও প্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন এবং আমরা ৩ কোটি টিকা কিনে রেখেছি। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সকলকেই আমরা টিকা দেব।
তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেয়া সত্বেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তাহলে আমি মনে করি আমাদের দেশ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি চলে যাবে। তাই সাবাইকে এটা মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সেবা পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তাঁর সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছে, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ ও সরকার প্রণয়ন করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাত আরো একধাপ এগিয়ে গেল এবং বেসরকারি খাত আরো উৎসাহিত হবে এবং সকলেই চাইবে যেন এ ধরনের সেবামূলক কাজ করতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!