রোমান সম্রাট ক্লদিয়াস এর স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পাদ্রী ভ্যালেন্টাইনের আত্মাহুতি বা ত্যাগের মধ্যে দিয়ে বিশ্বজুড়ে যে দিবসটি পালিত হচ্ছে তার ন্মাই বিশ্ব ভালবাসা দিবস। প্রণয়,প্রেম,অনুরাগ,প্রীতি,সদভাব,বন্ধুত্ব,স্নেহ,শ্রদ্ধা,ভক্তি,আসক্তি,আকর্ষণ,টান,পছন্দ,মহব্বত,প্রেমিকপ্রেমিকা,অনুরাগ,প্রণয় যুক্ত হওয়া, প্রেমযুক্ত হওয়া,অনুরাগী হওয়া,প্রীতিভাবাপন্ন হওয়া,স্নেহ করা, শ্রদ্ধা করা,ভক্তি করা,আসক্ত বা আকৃষ্ট হওয়া,পছন্দ করা, কামনা করা,মনের বিনিময়,ভাবের আদান প্রদান,অনাবিল সুখ আর শান্তি ইত্যাদি শব্দের মধ্যেই ভালবাসার অর্থ নিহিত। এক কথায় সুস্বাস্থ্য সাফল্য ও প্রশান্তি।
সুরা রুম এর ২১ নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন,“তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটা হলো তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই সঙ্গী সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের কাছে সুখ শান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি তোমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ভালবাসা ও দয়া মায়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই যারা চিন্তা ভাবনা করে তাদের জন্য এসবের মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে ”।
আমাদের মরমী সংস্কৃতিতে এই ভালবাসা শব্দটি বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন শব্দ বাক্য ও কলি বা অন্তরা দ্বারা পরিপূর্ণ রয়েছে। বিশেষ করে প্রেমের গান বা প্রেমতত্ত্ব ব্যতিত সংস্কৃতির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায়না। মরমী সংস্কৃতির মূল বার্তাটিই হচ্ছে প্রেম বা ভালবাসা। কথা না বাড়িয়ে এক কথায় শুধু এটুুকুই বলতে চাই,তা হচ্ছে ভালবাসা শব্দটিকে বিভিন্নভাবে সুর তাল লয়ে ও উপমায় যিনি সুমধুর সঙ্গীত রচনা করে কালের ইতিহাসে কিংবদন্তী হয়ে আছেন তিনি হচ্ছেন গানের সম্রাট কামাল পাশা। যিনি তার জীবদ্বশায় সৃষ্টিকর্তাকে ভালবেসে জীবনের শেষ গানে গেয়েছেন,“ও বন্ধু ভূইলোনা আমারে,তোমার আমার প্রীতিবন্ধন আওয়ালে আখেরে। অর্থাৎ খোদাপ্রেমকেই তিনি স্বার্থক প্রেম হিসেবে কায়মনোবাক্যে মেনে নিয়েছেন। ভালবাসাকে স্মরণ অর্থে প্রকাশ করতে গিয়ে জীবনের প্রথম গানে এই বাউল কবি গেয়েছেন,
“বিসমিল্লাহ বলিয়া মুখের জবান খুলিলাম
যে বিসমিল্লাহর হয়না ওজন পৃথিবী দিলে তামাম।।
আল্লাহর নুরে নবী হন সৃজন
নবীর নুরে গড়িয়াছেন এ চৌদ্দ ভূবন।
অলি আবদাল হন যতজন
আমি স্মরণ করিলাম ”।।
ভালবাসার আরেক নাম ভাব। ভাব ব্যতিত ভালবাসা অর্থহীন। ভাবের আদান প্রদানের মধ্যে দিয়েই সৃষ্টি হয় স্বার্থক ভালবাসা। ভালবাসাকে ভাব অর্থে প্রকাশ করতে গিয়ে কবি গেয়েছেন,
“আল্লাহ ডাকিহে তোমারে বারে বার
তুমি করুণার সিন্ধু দয়া কর বিন্দু
জানাই মুনাজাত আমি গুনাগার।।
ভাই বন্ধু পাত্র মিত্র সালামতে রাখিও
বেগানা নাদানেরে রহমত দানিও
গাইতে গুনগান ওহে পাক সোবাহান
হৃদয়ে দিও তুমি ভাবেরই সঞ্চার ”।।
ভালবাসার আরেক নাম দয়া বা করুনা। কিন্তু ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে তা পাওয়া যায়না। সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকেই এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে তা লাভ করতে হয়। এজন্য কবি গেয়েছেন,
“দ্বীন দুনিয়ার মালিক খোদা এত কষ্ঠ সয়না / তোমার দ্বীলকে দয়া হয়না,তোমার দ্বীলকি দয়া হয়না”
সব কথায় যার ব্যাথায় ভরা/কোন কথা সে বলবে/সব পথে যার কাটায় ঘেরা কোন পথে সে চলবে।
কাটার আঘাত সয় যার বুকে ফুলের আঘাত সয়না ”।।
দার্শনিক সক্রেটিস বলে গিয়েছেন,সঙ্গীতকে যারা ভালবাসেনা তারা মানুষ পর্যন্ত খুন করতে পারে। আজকের বিশ্বজুড়ে যে জঙ্গী অপশক্তির আবির্ভাব তা মূলত সংস্কৃতি বিরোধী হওয়ার কারণেই। তাই সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী বা বৈরাগী ভাবসম্পন্ন মানুষ কখনও খারাপ মানুষ হতে পারেনা। মানুষকে ভালবেসে শ্রষ্টাকে পাওয়াই তারা জীবনের ব্রত মনে করে। ভালবাসাকে ভাগী ও বৈরাগী অর্থে প্রকাশ করতে গিয়ে কবি গেয়েছেন,
“বাজনার ভেতরে আছে এবাদত আর বন্দেগী
গানের বিচার করে মানুষ হইয়া যায় সংসার ত্যাগী।।
ঘুরে কত বনে বনে আল্লাহর নামের জিকির টানে
ছাইড়া দিল মান কুলমান হইয়া সে প্রেমের ভাগী।।
জপে আল্লাহু আল্লাহু এই নামেতে তাজা রুহু
গাছ তলাতে বসে কেহ হয় নামের বৈরাগী ”।।
ভালবাসার রকম ভেদ আছে। গায়ের বলে প্রেম হয়না। জোরপূর্বক ধর্ষন করলে সেটি হয় ফৌজদারী অপরাধ। এজন্য জোরপূর্বক নয় কলকৌশলে প্রেম নিবেদন করার পক্ষপাতি কবি। ভালবাসাকে সজ্ঞায়িত করতে গিয়ে কবি পরিবেশন করেন।
“ওজন বুঝিয়া গো রাই প্রেম করিছ।
প্রেম করিবার ইচ্ছা থাকলে ভারের পাল্লায় ওজন দিছ
ওজন করিয়া সাধের প্রেম করিছ।।
প্রেম করা নয় গায়ের বলে প্রেম করো রাই কল কৌশলে
মনের মতো মানুষ পাইলে,না নিলেও প্রেম যাই”্ছা দিছ।।
প্রেম আছে রাই দুই তিন যাতে প্রেম করিছনা যার তার সাথে
মনের মতো রসিক পেতে সৎসঙ্গে বিড়াল ধরিছ।।
পিরীতি ভাই বড় ল্যাটা যৌবন কালে লাগে মিঠা
যৌবনে পড়িলে ভাটা, ভাটার বেলায় গোল মরিচ।।
প্রেম করো রসিকের সনে যেজন আছে রসের সনে
কবি কামালে কয় মরছি আমি তোরা সাবধান হইয়া থাকিস ”।।
একে অপরের ভালবাসায় যারা সিক্ত হয় তাদেরকে বলা হয় প্রেমিক। এই প্রেমিকের অপর নাম পাগল। পাগল বা দেওয়ানা না হলে প্রেমিকাকে পাওয়া যায়না। জগৎ জুড়ে প্রেমের যত ইতিহাস রচিত রয়েছে সেইসব ইতিহাসের নায়করাই পাগল বলে স্বীকৃত হয়েছেন। সৃষ্টি পাগল হবে স্রষ্টার জন্য এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আজকাল দেখা যায় মানুষ খোদাপ্রেম ও মানবপ্রেমকে তুচ্ছ করে স্বার্থের পাগল হয়ে যায়। এজন্যই কবি তার মনশিক্ষা গানে গেয়েছেন,
“আমার মন পাগলরে আমার দিল পাগলরে
ও তুই পাগল হইলে কার লাইগ্যারে ।।
জয়নব শোকে এজিদ পাগল বদ্ধ করলো পানি
ইমাম শোকে হইলেন পাগল আমার ফাতেমা জননী
স্বামীর শোকেতে পাগল বিবি সখীনায়
উম্মতের লাগিয়া পাগল আমার দ্বীনের নবী মোস্তফায়রে।।
লাইলীর শোকে মজনু পাগল বনে বনে ঘুরে
শিরীর শোকে ফরহাদ পাগল পাহাড় কেটে মরে
আরেক পাগল ছিলেন আমার দাউদ পয়গাম্বর
১৮ব্যাটা মরলো তার সজিদার ভেতর রে।।
আরেক পাগল ছিলেন আমার হযরত নবী মুসা
কুহুতুরে নিয়া আল্লায় দেখাইলেন তামেশা।
আরেক পাগল ছিলেন আমার গাজী জিন্দাপীর
রাজত্ব ছাড়িয়া হইলেন জঙ্গঁলার ফকীর রে।।
আরেক পাগল ছিলেন আমার ইউনুছ পয়গাম্বর
৪০দিন রইলেন বাচিয়া মাছের ও ভেতর।
আ্ল্লাহ তায়ালার শান শওকতে রইলেন বাচিয়া
লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ইছিম ও পড়িয়ারে।।
প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাগল এই বিশ্ব ব্যাপিয়া
আসল প্রেমের পাগলরে ভাই মিলেনা খুজিয়া
বাউল কামালে কয় প্রেমের বাতাস লাগলো নারে গায়
আমি ভবে হইলাম পাগল ভাত খাইবার দায়রে”।।
মিলনে ভালবাসা স্বার্থক হয়। কিন্তু বিচ্ছেদে সইতে হয় নরকজ্বালা। তাই প্রেম করতে হয় বুঝে শুনে। খাটি প্রেমের আহবাণ জানিয়ে কবি তার বিচ্ছেদী গানে গেয়েছেন,
“প্রান সখীরে প্রেমের মত জ্বালা ভবে নাই
আমি আগেতো বিশ্বাস করতাম না এখন কিছু ঠের পাই।।
হায়রে দারুন প্রেমের এত জ্বালা
যেমন টেংরা মাছের গালাগো।
তারে ছাড়াইলে ছাড়ানী যায়না
কি দিয়া আমি ছাড়াই।।
হায়রে নব যৌবন দিল উকি
কেমনে বুঝাইয়া রাখি গো
আমি ভিজা গামছা বুকে রাখি
কুলমান আমি ডরাই।্।
হায়রে কামাল মিয়ার ঐ মিনতি
আছ যত সতী নারী গো
তোমরা না বুঝিয়া প্রেম কইরওনা
আমি অধম বলে যাই ”।।
ব্যর্থ প্রেমের বুঝা একদিনের জন্য নয় সারাজীবন বহন করতে হয়। এর দূর্গতির কোন শেষ নেই। রাইর ক্ষেদ গানে কবি তা প্রকাশ করে গেয়েছেন,
“প্রান সখীরে আমি না বুঝিয়া করলাম পিরীতি
আমি লাভের আশায় করলাম পিরীতি
লাভ হইল না এক রতি॥
হায়রে যারে দিলাম ষোল আনা
তবু তাহার মন পাইলাম না গো
আমার বুঝাইলে মন বুঝ মানেনা
এখন আমার কি গতি।।
হায় হায় পিরীত করে এই ফল হলো
সার হলো নয়নের জল গো।
আমি নয়নের জল করে কাজল
লিখি পিরীতের নথি।।
হায় পিরীত করে ঐ লাঞ্চনা
ঘরে বায়রে আনা গোনা গো।
আমি সারা নিশি কাটাই একা
জ্বালাইয়া মোমের বাতি।।
হায় হায় বন্ধুরে জানিয়া আপন
আমি সপে ছিলাম জীবন যৌবন গো
এগো পর কোনদিন হয়না আপন
হয়নারে দুঃখের সাথী।।
হায় হায় কামালেরী র্কম দোষে
প্রান বন্ধুরে ভালবেসে গো
ও আমি জ্বালায় জ্বালায় জইলা মরি
ঘটলো এত র্দুগতি ”॥
এমনিভাবে সামের উপাসনা গানে প্রেমের মর্ম উপলব্ধির তাগিদ দিয়েছেন কবি।
“পিরীতের মর্ম জানসনা সজনীগো
পিরীতের মর্ম জাননা।।
চন্ডিদাস রজকীনি প্রেম করিল কর্নে শুনি
সমানে সমান ছিল দুই জনা।
তারা এমন এক প্রেম করেছিল মৃত্যুদেহায় জীবন পাইলো
প্রেমিকের প্রেম মরলেও ছুটেনা।।
ভেবে কামাল উদ্দিন বলে এক প্রেমেতে মধু মিলে
আরেক প্রেমেতে বিষ মিলে কিনা ?
পিরীতেরী এমনি ধারা পিরীতে হয় অধর ধরা
আরেক প্রেমে নরকের নিশানা ” ।।
খাটি শুদ্ধ প্রেমও অনেক সময় বিষময় হয়ে উঠে। তাইতো জীবন কেটে যায় দূরাশায়।
মনশিক্ষা গানে এই দূরাশার কথা কবি তুলে ধরে গেয়েছেন,
“পাগল মন আমার জীবন আমার গেল দুরাশায়।।
পিরীত করার আগে তারে ওজন করে লইতে হয়
পয়সা দিয়া পিরীত করলে পয়সার পিরীত আর কয়দিন রয়।
ভাঙ্গা ঘরে ঢিক লাগাইলে পুরান ঘরে আর কয়দিন যায়।।
চন্ডীদাস রজকিনী প্রেম করিল দুনোজন
শিরির জন্য পাহাড় কেটে ফরহাদের হইলো মরণ।
লাইলীর জন্য মজনু পাগল ঘুরে কত জঙ্গলায়।।
ইউসুফ জুলেখার প্রেম সকলের আছে জানা
পরে কত কান্ড হইলো বানাইলো সপ্তম খানা।
ইউসুফ নামে হইয়া পাগল ৪০ বছর জেলখানায়।।
শুদ্ধ প্রেমের প্রেমিক যারা ভবে গেল করিয়া
তার প্রেমে মোহর মারা দেখ একবার ভাবিয়া।
কামাল পাশা প্রেম করিয়া পড়ে গেল দুটানায় ”।।
বাউল কামাল পাশা একজন সুশিক্ষিত লোকশিল্পী ছিলেন। পবিত্র ধর্ম ইসলামের বাণী ছাড়াও তিনি সনাতন ধর্মের বিভিন্ন পৌরানিক কাহিনীকে অবলম্বণ করে সার্থক প্রেমের গান রচনা করেছেন। প্রেমতত্ত্ব গানে সুন্দর সুন্দর কথা বাক্য ব্যবহার করে তিনি দেখিয়ে গেছেন বাংলাভাষা কত রসসমৃদ্ধ ভাষায় উন্নীত হতে পারে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে বিশ্ব ভালবাসা দিবসে প্রেমের কবি কামাল পাশার প্রতি এ কারণেই অন্তরের অন্তস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই। পরিশেষে নিম্নোক্ত গানটি উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে প্রতিবেদনের ইতি টানলাম।
“যার সনে যার ভালবাসারে আছে যতদিন
ততদিন সে তাহারে বাসিবেনা বীনওরে।।
লোহা কাষ্ঠে ভালবাসা জলে ভেসে চলে
জলে মীনে ভালবাসা যতদিন বয় জলে।
ততদিন সুখ শান্তিতে ঘুরে ফিরে মীন
জল ছাড়া মীন বাছেনা ঘটে যায় দূর্দিনরে।।
আইয়্যুব নবী প্রেম করিলেন রহিমারে লইয়া
১৮ বছর রইলেন বনে কুষ্ঠ রোগী হইয়া।
তবু বিবি সেবে ছিলেন স্বামীরও চরন
ভিক্ষা করি বাছাইলেন স্বামীরও জীবনরে।।
সত্য প্রেম আর ভালবাসা আছে যাহার দিলে
তাদের প্রেমে মহর মারা ছুটেনা মরিলে।
ভাবিকের ভাব ছুটেনা অভাবিক যেজন
তাদের প্রেমে অকালেতে ঘটে বিড়ম্বনারে।।
খাদিজা রাসুলের প্রেমে হইয়া গেলা মত্ত
লোকেরে বিলাইয়া দিলেন সওদাঘরী স্বত্ত।
বাদাশাহী লুুঠাইলেন বিবি স্বামীরও কারন
আজকাল ভবে এমন প্রেমিক মিলেবা কয়জনরে।।
নবীর প্রেমে ওয়াজকরনী হইয়া গেল ভক্ত
৩২ দন্ধন শহীদ করলো করল কত কষ্ট।
প্রেমিক জানে প্রেমের বেদন আর জানিবে কে
বাউল কামালে কয় এমন প্রেমিক কয়জন ভবে আছেরে ”।।
উল্লেখ্য প্রায় ৬ হাজার মরমী গানের রচয়িতা বাউল কামাল পাশা ১৯০১ ইং সনের ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। মৃত্যুবরন করেন ১৯৮৫ সালের ৬মে মোতাবেক ২০ বৈশাখ গ্রামের বাড়িতে। ভারতের চলচ্চিত্রে শিল্পী পবন দাশ পরিবেশিত “দীন দুনিয়ার মালিক খোদা দিলকি দয়া হয়না” ও ভাটিয়ালী গানের অমর শিল্পী আব্দুল আলিম পরিবেশিত “প্রেমের মরা জলে ডুবেনা” ইত্যাদী সৃষ্টিতত্ব ও প্রেমতত্ব গানের সফল রচয়িতা মরহুম বাউল কামাল পাশা।