স্টাফ রিপোর্টার :
যৌনকর্মী ও পতিতাদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের দাবিতে বৃহত্তর ষোলঘর, ধোপাখারি, নবীনগর এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। রবিবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসির কাছে আলাদাভাবে এ আবেদন জানানো হয়। আবদনের প্রেক্ষিতে চার ঘন্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেলেই সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে সভা করেছেন। বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুলও এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা করে দাবির প্রতি একাতœতা জানিয়েছেন।
আবেদনে এলাকাবসী অভিযোগ করেন, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ষোলঘর,ধোপাখালি, স্লুইসগেট, নবীনগর এলাকায় যৌনকর্মী আনোয়ারা ওরফে নানী, সুমি, আসমা, লিজা, সুমা, সহ অনেক পতিতা বাসা ভাড়া নিয়ে পতিতা পল্লী গড়ে তোলেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মাদক ব্যবসা। এদেরে আচরণে স্থানীয় বাসিন্ধারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপে কেউ বাধা দিলে এই সিন্ডিকেট বাইরে থেকে লোক এনে মুখে সিগারেট, দা লাটি নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে এবয় অকাথ্য ভাসায় গালিগালাজ করে। ভাড়িওয়ালাও এদের পশ্রয় দিচ্ছে বেশি ভাড়ার আশায়। এতে গোটা সমাজ ও স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বিপদগামী হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও পুলিশ কে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়।
আবদেন স্থানীয় কাইন্সলরসহ তিন এলাকার তিনশত মানুষ সাক্ষর করেন।
এদিকে অভিযোগ পেয়েই বিকেলে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ, সদর মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য সেলিম আহমদসহ আইনর্শঙ্কলা বাহিনীর কর্মকর্তরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, যৌকর্মীদের বাসা ভাড়ার মালিক বলা হয়েছে শুক্রবার সকালের মধ্যে বাসা খালি করতে। না হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। যারা এই অসামাজিক কার্যকলাপে করতে তাদের ছাড় দেবে না পুলিশ।