বিশেষ প্রতিনিধি::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন দেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার কাছে টাকার কোন অভাব নাই। অভাব হলো আমাদের ঈমানের ও লোভ লালসার। তিনি বলেন, আমরা চুরি করে খাই, কাজ করতে গিয়ে সময় নষ্ট করি। সরকারের তহবিল তছরুফ করি। যদি ঈমানের সঙ্গে কাজ করি তাহলে হাওরের এই অবহেলিত অঞ্চলই নয় দেশের আরো বড় বড় রাস্তা স্থাপনা করতে পারব আমরা।
শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল গ্রামে ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জগদল মাঠে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নুনু মিয়ার সভাপতিত্বে ও যুবলীগের দিরাই উপজেলা আহ্বায়ক রঞ্জন রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, সাবেক যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. শামসুদ্দিন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, দিরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল কাশেম, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ম-লীর সদস্য শামীম চৌধুরী প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী যাত্রাপথে দুর্গম হাওরের মাঠ ও জাঙ্গাল দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, আমি আসার পথে মানুষ গাড়ি দাড় করিয়ে কেবল রাস্তা রাস্তা করছে। এই রাস্তা হলে আমাদের জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের গ্রাম বুরাখালি হয়ে জগন্নাথপুরে যাওয়া যাবে। কিন্তু এসব করতে হলে আমাদের সময়ের দরকার। উন্নয়নের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন চাইলে নোংরামি, ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দেশকে ভালোবেসে, গরিব মানুষকে ভালোবেসে গ্রামের জন্য কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের সেই শিক্ষাই দিচ্ছেন।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রী দিরাই উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের অবিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার এখন একটাই উদ্দেশ্য; তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন চান। এই উন্নয়ন শুধু সেতু ও রাস্তাঘাটই নয়। মানসিক উন্নয়নেও তিনি কাজ করছেন। মন্ত্রী বলেন, মানসিক উন্নয়নের প্রথম কাজ হলো মানুষকে মানুষ ভাবা, অসাম্প্রদায়িক হওয়া। মানুষকে ধর্ম, পেশা, আঞ্চলিকতা বংশ পরিচয়ে বিচার না করা। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই সমান মর্যাদা ভোগ করব।