রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু ::
১৯৫২ সালে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘরে জনাব বজলুল মজদি চৌধুরী খসরু জন্মগ্রহণ করেন। শহরের জুবিলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে সুনামগঞ্জ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়া অবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। যুগভেরী পত্রিকার মাধ্যমে তাঁর সাংবাদিকতার হাতেকড়ি। স্বাধীনতার পর তিনি দৈনিক সংবাদের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হন। পূর্বদেশ পত্রিকা বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এর দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সুনামগঞ্জ কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি জার্মান চলে যান, সেখানে তিনি অনিয়মিত পত্রিকা ট্রাগলস পত্রিকা সম্পাদনা করে। ১৯৮৩ সালে তিনি দেশে ফেরার পর পুনরায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি দৈনিক কিষাণের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৮৪ সালেই তিনি সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। সুনামগঞ্জ মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হওয়ার প্রথম দিন থেকেই তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সুনাম। জনাব শহীদুজ্জামান চৌধুরী, আইনুল ইসলাম বাবলু, হুমায়ূন রশীধ চৌধুরী, বিজন সেন রায়, শাহনেওয়াজ জাহান, জিয়াউল ইসলামের সম্পৃক্তায় সাপ্তাহিক সুনাম যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। জনাব খসরু ১৯৮৯ সালে ৭১-এর সুনামগঞ্জ সম্পাদনা করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রইউনিয়নের সঙ্গে ছাত্রাবস্থায় জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সেক্টর-৫ এর অধীনে চেলা সাব-সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব খসরু মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ট্রাস্টের ট্রাস্ট্রি, ক্যাপ্টেট হেলাল শিক্ষা ট্রাস্টের সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ও হাওর বাঁচাও কেন্দ্রেীয় কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। জনাব অ্যাডভোকেট খসরু ১৯৯১ সালে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ২০০০ সালে সভাপতি পদে নির্বাচিন হন। তিনি রাইফেলস ক্লাবেক সম্পাদক, জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সম্পাদক, শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক, পিপিরও দায়িত্বপালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুরে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হেলাল খসরু হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।