মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে: গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে অন্তত ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় সুরমা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। আমন বীজতলা ও চাষাবাদকৃত বর্ষাকালীন সবজি ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়েগেছে।
গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাবারড্যাম প্রকল্প ও খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কার করা হলেও এবারের প্রথম বন্যায় ফের ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত হলো গ্রামের পর গ্রাম। উজানের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার মহ্ববতপুর-লেয়াকতগঞ্জবাজার, টিলাগাঁও-গিরিশনগর রাস্তা কাম বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোনো সময় ভেঙ্গে গিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। সকাল থেকে স্থানীয় মহব্বতপুরবাজারে বন্যা কবলিত হয়ে হাঁটু সমান পানি উঠে পড়ায় দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রয়েছে। চলাচল সড়ক গুলো তলিয়ে যাওয়ায় চরম ভোন্তি পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের জনসাধারণ কে।
বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত রাবারড্যাম প্রকল্প ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুর রহমান, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদ।
বুধবার ভোর রাতে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাঁও রাবারড্যাম প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে দোয়ারা সদর, সুরমা, লক্ষ্মীপুর ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। দ্রুত বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিন ইউনিয়নের যোগাযোগের প্রধানতম সড়কের শরীফপুর গ্রামের নিকটবর্তী প্রায় অর্ধ কিলোমিটার তলিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরের সাথে সম্পুর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া বাংলাবাজার, নরসিংপুর ও সদর ইউনিয়নের দোয়ারা-বাংলাবাজার ব্রিটিশ সড়কটি আংশিক তলিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরের সাথে সকাল থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্য দিকে দোয়ারাবাজার-ছাতক লাফার্জ সড়কের একাধিক ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে বিভাগীয় শহর সিলেট ও ছাতক উপজেলার সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েগেছে।
অপর দিকে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাঞ্চনপুর গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে কয়েকটি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের দোহালিয়া বাজার, আংগাং, রাজনপুর, হরিপুর, জঙ্গল শ্রী সহ কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত রাবারড্যাম প্রকল্প ও বেড়িবাঁধ সরজমিন পরিদর্শন করেছি। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের সাথে কথা হয়েছে কিভাবে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া যায়।##