1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন

হাজি সেলিমের দশ বছরের কারাদণ্ড

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১, ৭.১২ পিএম
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে দুই যুগ আগের একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।

বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে। এ টাকা পরিশোধ না করলে তাকে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

এ মামলা সংক্রান্ত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।

তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালত হাজী সেলিমকে যে তিন বছরের যে কারাদণ্ড দিয়েছিল, দুর্নীতি দমন কমিশন সেই সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় উচ্চ আদালত সে অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দিয়েছে।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পুরান ঢাকার এই আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিননামা বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করে।

আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ায় এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে দণ্ডিত হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরার আপিলটি বাতিল করা হয়েছে।

আদালত রায়ে বলেছে,বিচারিক আদালতে রায়ে দণ্ডিত হাজি মোহাম্মদ সেলিমের আপিল সংশোধন করে (আংশিক গ্রহণ ও আংশিক খারিজ) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ ধারা সংক্রান্ত আপিল গ্রহণ করা হল। আর এই আইনের ২৭ (১) এ আপিলের অংশ খারিজ করা হল।

আদালতে হাজী সেলিম ও তার স্ত্রীর আপিলের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

ফৌজদারি মামলায় এই দণ্ডের কারণে হাজী সেলিমের সংসদ সদস্যপদ ঝুঁকিতে পড়ল।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো আইনপ্রণেতা নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দুই কিংবা ততধিক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হল সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবে না এবং মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি আর সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হন না।

তবে হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তারা হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

“সম্পদের উৎসের বিষয়ে বিচারিক আদালতের রায়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু উৎস থেকে যে সম্পদ অর্জিত হয়েছিল, সে সম্পদের কারণে তার সাজা বহাল রাখা হল। মূলত এই গ্রাউন্ডেই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।”

এ আইনজীবী বলেন, এ মামলাটি একেবারে ব্যতিক্রম একটি মামলা। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য একদিনে নেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের ২২ মে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর ২৭ মে রায় হয়। অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যে একটি মামলার বিচারকাজ কীভাবে শেষ হয়! এই বিষয়গুলো উচ্চ আদালত বিবেচনায় নেননি। ফলে আমরা আপিল করব।”

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে বিচারিক আদালত ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় তাকে।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাই কোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।

হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাই কোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!