জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দাড়ি ও মাথায় লম্বা চুল রাখায় ৫ তরুণের চুল ও দাড়ি কেটে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। আজ শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- পাটলী ইউনিয়নের গোয়ালকুড়ি গ্রামের মৃত ছুরত মিয়ার ছেলে শ্যামল মিয়া (৪০), পাটলী গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে আনর মিয়া (৪৬) ও মইজপুর গ্রামের মৃত খুরশেদ মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামের পরিমল শব্দকরের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার ভাতিজা ভূবেশ কর, সুবেন্দ্র কর, সুভাষ কর, নয়ন কর, ভাই হৃদয় কর ও প্রতিবেশী তরুণ আনসার সদস্য লিপন দাস রসুলগঞ্জ বাজারের লোকনাথ হেয়ার ড্রেসারে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চুল ও দাড়ি কাটছিলেন। এ সময় সেলুনে আসা মইজপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া, লোহারগাঁও গ্রামের ফুল মিয়া, পাটলী গ্রামের আনর মিয়া গংরা তাদেরকে ‘স্টাইল করে’ চুল কাটা এবং দাড়ি রাখায় বিদ্রুপ ও কটুক্তি করে। হিন্দু হয়ে কেন দাড়ি রেখেছে এমন কৈফিয়ত চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই ৫ তরুণকে মারধর করে শেষে তাদের মাথা ন্যাড়া করে দাড়ি ও চুল কেটে দেওয়া হয়। নির্যাতিত এক যুবক রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করলে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক মির্জা সাখাওয়াত বলেন, ‘৫ তরুণের চুল ও দাড়ি জোরপূর্বক কাটার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় শনিবার অভিযুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’