হাওর ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার ভোর রাতে শাল্লা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, গতকাল শনিবার ভোর রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে গত বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় গত বৃহস্পতিবার দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে এক হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে অন্য মামলাটি করেছেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর মামলায় আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের ৫০ জনসহ ১৫০০ জনকে। মামলার প্রধান আসামি ও ঘটনার উস্কানীদাতা নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়া।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দির ভাংচুর করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় গত বুধবার সকাল ৯টায় এই তাণ্ডব চালানো হয়।
এর আগে গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই স্টেডিয়ামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এসময় ধর্মীয় উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।