স্টাফ রিপোর্টার::
জলমহাল নয় শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাও গ্রামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিই ফেইসবুকের পোস্টের জেরে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী। একই সঙ্গে এলাকার লোকজনসহ বিভিন্ন রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও একই কথা জানিয়েছেন। গ্রামের লোকজনও জানিয়েছেন ফেইসবুকের সূত্র ধরেই তাদের গ্রামে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে।
হামলাকারী গ্রাম কাশিপুরের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অলিউল হক বলেন, মোবাইলে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঝুমন দাসের পোস্ট দেখে প্রত্যেক মসজিদে মসজিদে ইমামরা মাইকে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আন্দোলন আন্দোলন বলে এগুতে থাকে তারা। রাতেও তারা আন্দোল করে। আমরা ফিরাইছি। পরেরদিন সকাল আটটার সময় বেশি লোক আইয়া হামলা করছে। কাশিপুরের লোকদের আমি ফিরাইছি।
গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎচন্দ্র দাস বলেন, কয়েকটি গ্রামের মসজিদের মাইকে দুইদিন ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় আমাদের মালাউন বলে গালি দিয়ে টাকা পয়সা ও সোনাদানা লুট করে নিয়েছে।
ইউপি সদস্য বলেন, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তারা হামলা করেছে সংখ্যালঘুদের নোয়াগাও গ্রামে। তবে গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে স্বাধীন মেম্বারের জলমহাল নিয়ে বিরোধ ছিল। সেও সুযোগ নিয়েছে সাম্প্রদায়িক উস্কানী কাজে লাগিয়ে। হামলাকারীদের ভিডিওই প্রমাণ করে তারা সাম্প্রদায়িক শক্তির অনুসারী।
নোয়গাও গ্রামের বৃদ্ধা জোছনা দাস বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ পালাতে পারিনাই। আমাকে মালাউন গালি দিয়া সব লুট করে নিয়েছে। বলেছে মালাউনের জাত মামুনুল হুজুরের মনে কষ্ট দিছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট বলেন, এটা সাম্প্রদায়িক আক্রমণ। মসজিদের মাইক ব্যবহার হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় জেনেও হামলা করেছে। যারা এটাকে ভিন্নখাতে নিতে চায় তারা সাম্প্রদায়িক শক্তির দোসর।
২০ মার্চ সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার মো. মফিজ উদ্দিন আহমদ ঘটনাস্থলে এসে বলেছেন, যারা ঘর ভেঙ্গেছে সেই সাম্প্রদায়িক জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবেনা।