হাওর ডেস্ক ::
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় আগামীকাল সোমবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শবে বরাত পালনের অনুরোধ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
গত বছর করোনা মহামারির কারণে ঘরে ইবাদত করার আহ্বান জানিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে এখনও এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা দেয়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন বলেন, ঘরে বসে ইবাদত করার কোনো নির্দেশনা এখনও আমাদের কাছে আসেনি। যেহেতু সব কিছু চলছে, তাই মুসল্লিরা শবে বরাতের নামাজ আদায় করতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে নামাজ আদায় করার অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের আকাশে ১৪ মার্চ ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৫ মার্চ পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়। সে হিসেবে ১৬ মার্চ মঙ্গলবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়। আর ১৪ শাবান হবে ২৯ মার্চ। সে হিসেবে মহিমান্বিত রাত হিসেবে ইবাদত বন্দেগী করবেন মুসলমানরা।
এ রাতটিকে মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হবে। মহিমান্বিত এ রাতে আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।
শবে বরাত মুসলমানদের কাছে লাইলাতুল বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পরিচিত। আরবি শব্দ লাইলা অর্থ রাত। ফার্সি শব্দ শব অর্থও রাত। আর বরাত অর্থ মুক্তি বা নিষ্কৃতি। শাবান মাসের ১৪ তারিখের এ রাতকে মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত হিসেবে অবহিত করা হয়।
এ রাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপ থেকে মুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। এ রাতে অনেকেই নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করে থাকেন। এছাড়া অনেকেই এ রাতে বাবা-মাসহ আত্মীয়দের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন। সূত্র : ঢাকা পোস্ট