স্টাফ রিপোর্টার::
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে শাল্লার নোয়াগাওয়ে সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন নেতৃবৃন্দ। বৃহষ্পতিবার তারা গ্রাম ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
এসময় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, এই সভ্য সমাজে কোন মানুষ সংঘবদ্ধভাবে নীরিহ গ্রামবাসীর উপর এভাবে উপর ঝাপিয়ে পরবে এটা কল্পনাও করা যায়না। কিন্তু শাল্লায় এমন বর্বর কা- ঘটেছে। তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গ্রামবাসীকে দেখতে ও সহযোগিতা দিতে এসেছি। আমরা তাদের বলতে চাই আমরা আপনাদের পাশে আছি। নাদেল বলেন, সারাদেশে ওয়াজ মাহফিলের নামে মৌলবাদীরা শুধু বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। তারা ইসলাম ও মানবিকতা বুঝেনা ব্রাম্মণবাড়িয়া ও শাল্লার দিকে থাকালেই বুঝা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্রাম্মণবাড়িয়ায় মৌলবাদীরা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যযুগীয় কায়দায় গুড়িয়ে দিয়েছে। বাবু নগরী-মামুনুল হকের প্রেতাত্মারা এসব অধর্মের কাজ করেছে। ব্যঙ্গের ছাতার মতো বাবু নগরী-মামুনুলরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা ইসলামের নামে শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করছে।
তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দেশপ্রেমিক শক্তি, সচেতন মানুষজনের কাছে আমার দাবি আপনারা এই বাবু নগরী মামুনুল হকদের কোন সহযোগিতা করবেননা। ওদের যতই পৃষ্ঠপোষকতা করুননা কেন ওরা সুযোগ পেলেই আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তিনি বলেন, আমাদের নবী মোহাম্মদ (স.) কোথাও বলেননি ভাংচুর করতে হবে, হিন্দুদের গ্রামে হামলা করতে হবে। কিন্তু সমাজ-রাষ্ট্র ও ইসলামের শান্তি ও শিক্ষা বিনষ্ট করে এরা অন্য ধর্মের উপর আঘাত করছে। তারা ইসলামবিরোধী কাজ হরতাল করে রাস্তায় এম্বুলেন্স আটকিয়ে রোগীদের কষ্ট দিয়েছে।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, সামাজিক শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে। এরা চায়না বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক। তাই তারা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করে দিতে হামলা চালিয়েছিল। তিনি বলেন, এদেশের সকাল ধর্মের মানুষ শান্তিপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণ। তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী। এই অসাম্প্রদায়িক মানুষদের নিয়েই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীদের রূখতে হবে। এসময় প্রতিনিধিদলে তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিৎ নন্দী। অন্যদের মধ্যে ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুবীর তালুকদার বাপ্টু, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সিরাজ উদ দৌলা, এডভোকেট সোহেল তালুকদার প্রমুখ।