হাওর ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্ট নামে একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। পরে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশ দাবি করেছে, তারা মামুনুলকে পাহারা দেওয়ার পর হেফাজতের নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন নারীকে নিয়ে তিনি ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। তবে মামুনুল বলছেন, দুই বছর আগে এই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে তিনি বিয়ে করেছেন। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্ত হয়ে তিনি বলেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।
এর আগে শনিবার সোশাল মিডিয়ায় মামুনুল হককে আটকের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, মামুনুল হক ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে বলছেন, দুই বছর আগে আমি তাকে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেছি। এখানে আমি তাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানে যারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আমি আল্লাহর নামে শপথ ও কসম করে বলতেছি, সে আমার স্ত্রী। খোদার কসম আমি গুনাহের কাজ করি নাই, এটা আমার দ্বিতীয় বউ।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ অবস্থান করছেন- এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।