বিশেষ প্রতিনিধি::
সোনারগাওয়ে রয়েল রিসোর্টে কথিত স্ত্রীসহ জনতার হাতে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনার জের ধরে সুনামগঞ্জের ছাতক থানা ও পৌর শহরে হামলা তা-বের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার বিকেলে ছাতক থানার এ ঘটনায় আহত এসআই আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯৪ জন হেফাজত নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাত ৯টার পর হেফাজত নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাতক থানায় হামলায় চালায়। এসময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা শহরে এসে কয়েকটি দোকানপাটও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায় সোনারগাঁওয়ে একটি অভিযাত হোটেলে হেফাজত নেতা মামুনুল হক কথিত স্ত্রীসহ জনতার হাতে অবরুদ্ধ হন। এ ঘটনার জের ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মতো তার উগ্র সমর্থকরা সুনামগঞ্জের ছাতক থানায়ও হামলা চালায়। তারা থানার গোলঘরে প্রবেশ করে ভাংচুরসহ থানার মূলঘর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা পৌর শহরের কয়েকটি দোকানও ভাংচুর চালায়। এতে ৭ জন পুলিশ আহত হন। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পৌর শহরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। তিনি কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন।
আটককৃত হেফাজত কর্মীরা হলেন, জয়নাল আবেদিন, আবুল হোসেন, শামসুদ্দিন, মো. সুমন আহমদ, মো. আলী হোসেন, রাজন আহমদ, একরাম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ফাইম ও জনি আহমদ। আটককৃদের থানা হাজতে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
ছাতক থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ছাতক থানা ও পৌর শহরে তা-ব চালানোর ঘটনায় ৯জনকে আটক করা হয়েছে। ৯৪ জনের নামোল্লেখসহ অন্তত ৯শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। পাশাপাশি শহরে টহল জোরদার করা হয়েছে।