অনলাইন ডেক্স::
আসাম ও মেঘালয় সীমান্তে চোরাচালান এবং জঙ্গি সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে ভারত। এমনটাই দাবি করেছে সেদেশটির বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম, এজন্যে খুব শীঘ্রই মেঘালয় সীমান্তে বিশেষ অনুপ্রবেশ শনাক্তকরণ অ্যালার্ম বসাবে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। এরফলে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গরু চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের পরিচালক কে কে শর্মা।
শুক্রবার (৫ মে ) বিএসএফ’এর ৮ম বার্ষিক মেডিক্যাল কনফারেন্সে বক্তব্য দেয়ার সময় এ সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেঘালয় সীমান্তে অন্তত ১শ’টি ফাঁকা জায়গা তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন। এই এলাকায় স্থল ছাড়াও রয়েছে নদী। তাই দু’দেশের ৪৪৩ কিলোমিটার সীমান্তের অন্তত ৯০ কিলোমিটারই রয়েছে অরক্ষিত। কাজেই এই এলাকায় নজরদারি আরও বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি কাজে দেবে বলেই আশা করছে বিএসএফ।
বক্তব্যে গত বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কে কে শর্মা বলেন, ২০১৬ সালে সীমান্তে রেকর্ড সংখ্যক গরু চোরাচালানকারীদের ধরেছে বিএসএফ। এরমধ্যে নির্দেশ অমান্য করায় অন্তত ১৬ জনকে হত্যাও করা হয়েছে। তবে সীমান্তে সুরক্ষায় বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) প্রচুর সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি। সীমান্তে সক্রিয় ভারতীয় জঙ্গি গোষ্ঠীদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার এই অঞ্চলের সন্ত্রাস দমনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, কাশ্মীরের মতো আসাম সীমান্ত নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিএসএফ। এরই মধ্যে আসামকে স্পর্শকাতর রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। স্পেশাল পাওয়ার আইনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিএসএফ বলছে, ইউএলএফএ, এনডিএফবিসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর তাণ্ডবে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসের শিকার হয়ে আসছে আসাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে শুধু ২০১৬ সালেই আসামে ৭৫টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪ নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্তত ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আবার ২০১৭ সালের প্রথম ৪ মাসের মধ্যেই জঙ্গিদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন দুই নিরাপত্তারক্ষীসহ মোট ৯ জন।
এমন পরিস্থিতিতে মে মাসের ৩ তারিখে আসামকে স্পর্শকাতর রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে কমপক্ষে ৩ মাসের জন্য এই এলাকাগুলিতে জারি থাকবে এই আইন। বাড়ানো হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।