রাজু ভুঁইয়া, ধর্মপাশা ::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পপি, উপমা, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক সহ প্রত্যন্ত দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময় অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলাধীন সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জারাকোনা, সশাকন্দা, ইসলামপুর ও সুখাইর সহ বিভিন্ন গ্রামের দূর্গত মানুষের জীবনমান নিয়ে ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও মানবিক সহায়তা বিষয়ক নিয়ে মত বিনিময় করা হয়েছে। এলনা প্রকল্পের অর্থায়নের অক্রাাফার্ম ইন বাংলাদেশ ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা পপি এবং লিড এ্যাক্টর উপমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহম্মেদ, পপি’র এলনা প্রজেক্টের ফাইন্যান্স প্রজেক্ট অফিসার মো. হারুন ওর রশিদ, উন্নয়ন পরিকল্পনার মানুষ (উপমা)’র প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাইফুল আলম খান, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, সহ সাধারন সম্পাদক ও ধর্মপাশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সাইফ উল্লাহ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জারাকোনা গ্রামের মো. জামিরুল মিয়া (৬৫), আলী আজম (৫৫), পারভীন বেগম (৩২), সাজনাহার (৫০), রাহেলা খাতুন (৭০), সরুতজাহান বিবি (৭২), আবুল কালাম (৫৩), ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রুনা আক্তার, একই ইউনিয়নের সশাকান্দা গ্রামের আশরাফ আলী (৭২), সিদ্দিক মিয়া (৬৫), ফসল হারা কৃষক কৃষাণীদের আগাম বন্যায় ধংস করে দিয়েছে। তাদের সাজানো স্বপ্নের সোনার সংসার।
কৃষকরা বলেন, গতবার হাওর নিল পানিতে এর আগের বার গেল শীলা বৃষ্টিতে এবারও তলিয়ে গেল আগাম বন্যার পানিতে। এরপর বাড়ির বাঁধ দিতে পারি নাই, কিছু দিনপর ঢেউয়ে বাড়িঘর ভেঙ্গে যাবে।
কৃষকরা জানান, আগামী ফসল উঠার আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হলে প্রথমে খাদ্য সংস্থান তার পর মৎস্যজীবি ও হাওরপাড়ের কৃষকদের জন্য এক বছরের জন্য হাওর বিলের ইজার প্রথ স্থগিত করতে হবে। করে হাওরের গুলোকে মাছ মারার জন্য উম্মুক্ত করে দিতে হবে। হাওরের সাধারন মানুষের জন্য জাল, নৌকা, কৃষি উপকরন, কৃষি ও এনজিও ঋণ স্থগিত করে পূর্ণরায় ঋণ দিতে হবে।