1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন

করোনা মুক্তির প্রার্থনায় জলে ভাসলো বৈসাবি’র ফুল

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১২.৪৭ পিএম
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
করোনা কারণে সীমিত পরিসরে রাঙামাটিতে বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি উদ্যেগে কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বৈসাবি’র মূল আনুষ্ঠানিকতা। করোনার শঙ্কার মধ্যেও পাহাড়ি জনগোষ্ঠী বৃহত্তম এই সামাজিক আয়োজনে ব্যস্ত। সোমবার (১২ এপ্রির) ফুল ভাসিয়ে করোনা থেকে মুক্তির জন্য গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়।২৯ চৈত্র সোমবার চাকমা জনগোষ্ঠীর ‘ফুল বিজু’, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ‘হাঁড়িবসু’ আর মারমা সম্প্রদায়ে সূচিকাজ। ঠিক ফুলবিজু নামে অভিহিত না হলেও এইদিন প্রায় সব পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী পানিতে ফুল ভাসিয়ে দেয়।সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুল বিজু উপলক্ষে শহরের রাজবাড়ী ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে নিজ নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানিতে ফুল ভাসানো হয়।

উৎসবপ্রিয় পাহাড়িরা সারা বছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে। তবে তার সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বর্ষ বিদায়ের এই উৎসব। চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করে এই উৎসব।বৈসুকের ‘বৈ’ সাংগ্রাইয়ের ‘সা’ ও বিজু, বিষু ও বিহুর ‘বি’ নিয়ে উৎসবটিকে সংক্ষেপে ‘বৈসাবি’ নামে পালন করা হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে উৎসবে একীভূত করার জন্য এই সংক্ষেপে নামটি প্রচলন করা হয়।

উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে এবং পবিত্র এই ফুল ভাসিয়ে দেয় পানিতে। তাই একে বলা হয় ফুল বিজু। করোনা কারণে গত বছর কোনও আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও এবছর সীমিত পরিসরে ব্যক্তি উদ্যোগে ফুল বিজু উৎসব পালন করা হয়।পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো বছরের দুঃখ বেদনাই যেনো ভাসিয়ে দিয়ে নতুন দিনের সম্ভাবনার আলো জ্বালায় পাহাড়ের মানুষ। পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো দিনের বেদনা ভুলে নতুন দিনের প্রত্যয়ের কথা জানায় ফুল ভাসাতে আসা পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা।

রাজবাড়ীঘাট ফুল ভাসিয়ে অমর কুমার চাকমা বলেন, ‘এটি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ঐহিত্যবাহী সামাজিক উৎসব। করোনা কারণে গত বছর উৎসবটি সেভাবে হয়নি। এবার নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশ্ব যেন করোনা মুক্তি পায় সেই প্রার্থনা করা হয় মা গঙ্গা দেবীর কাছে। আমরা যেন আগামী বছর সুন্দর করে আগের মতো উৎসবটি পালন করতে পারি।’সীমা চাকমা বলেন, সকাল ফুল সংগ্রহ করে ঘর সাজিয়ে এখন ফুল ভাসাতে এসেছি। ফুল ভাসনোর মধ্যে দিয়ে পুরনো বছরের দুঃখ বেদনাকে ভাসিয়ে দিলাম এবং নতুন বছর যেন আরও অনেক সুন্দর হয়। করোনা থেকে দ্রুত বিশ্ব মুক্ত হোক। আমরা সবাই আবারও সম্ভাবিক জীবনে ফিরতে পারি সেই কামনা।বৈসাবি উদযাপন কমিটিরসদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, গত বছর করোনার কারণে কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হলেও হঠাৎ করোনা বৃদ্ধি পাওয়া সব স্থগিত করা হয়েছে। যে যার মতো বাড়ির আশেপাশে হ্রদের জলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফুল ভাসাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!