বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাখো মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থানের উৎস সীমান্ত নদী যাদুকাটায় কাজের দাবীতে মানববন্ধন করেছে
যাদুকাটা নদীর বালি পাথর ব্যাবসাী ও বালি পাথর উত্তোলনকারী
শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সকালে যাদুকাটা নদীর বালি পাথর ব্যাবসায়ী ও শ্রমিক সমিতির আয়োজনে আধাঘন্টা ব্যাপী তিন শতাধিক ব্যাবসায়ী ও শ্রমজিবী মানুষের অংশ গ্রহনে মানবন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
লাউড় বালু পাথর ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অব্দুস শাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, লাউড়েরগড় বালি পাথর ব্যাবসায়ী আব্দুল মোতালিব, বিল্লাল হোসেন, রহিছ মিয়া, খায়রাত হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য রেনু মিয়া, পাঠানপাড়া বালি পাথর ব্যাবসায়ী কামাল মিয়া, বালি পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিক নেতা হাকিকুল ইসলাম, মাসুক সর্দার, কিরন সর্দার, আক্তার সর্দার, জাহাঙ্গীর সর্দার, হাইয়ুল কবির প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত এক বছর ধরে করোনা সংক্রমণ ও ফাজিলপুর পাথর মহালের সাবেক ইজারাদাররা উচ্চ আদালতে বিভিন্ন মামলা দায়ের করে মহালটির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে। এ অবস্থায় যাদুকাটা নদীতে বালি পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে যার ফলে নদী সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ী, শ্রমিকসহ লক্ষাধিক মানুষ গত এক বছর ধরে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধ্বাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তারা আরো বলেন, গত বছর বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে উজান থেকে নেমে আসা বালির কারনে যাদুকাটা নদীতে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
এমতাবস্থায় নদী থেকে উক্ত বালি অপসারণ না করলে বন্যা হলে যাদুকাটা
নদীর আশ পাশের ২০টি গ্রামের ফসলী জমি বালি চাপা পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি অবিলম্বে নদীর প্রায় লক্ষাধিক ব্যাবসায়ী, শ্রমিক ও এলাকার জনসাধারণের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত যাদুকাটা নদী ইজারা প্রদান করে নদী সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ
সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য।