দিরাই প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা শহরে জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মালিকানাধীন ‘সেন মার্কেট’ এ দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বাদ সেহরি মার্কেটের দুই নিরাপত্তা প্রহরীর হাত পা বেধে মার্কেটে প্রবেশ করে ৭টি দোকানের সাটারের তালা ভেঙে নগদ টাকাসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ঘটনায় মার্কেটের দুই প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, সেন মার্কেটে প্রায় দেড় শতাধিক দোকান রয়েছে। শুক্রবার রাত প্রায় ১১টার সময় মার্কেটের দোকান বন্ধ করে চলে যান ব্যবসায়ীরা। সেহরির পরে ১০-১০জন ডাকাত অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মার্কেটের দুই প্রহরি সরফরাজ মিয়া এবং আফরাজ মিয়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেধে মেঝেতে ফেলে রাখে। পরে তারা একে একে সাতটি দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। লুট করা দোকানগুলোর মধ্যে কাপড় ও মোবাইলের দোকান রয়েছে। মালামাল নিয়ে যাওয়ার পর সকালে প্রহরিরা কোন মতে বাধন খুলে মার্কেটের সেক্রেটারি
দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রায়
পুলিশ ও পাহারাদারদের সুত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ৮/১০ জনের ডাকাতদল মার্কেটের পেছনের গেইটের থালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে মার্কেটে নিয়োজিত পাহারাদার ২ জনের হাত পা বেধে বিভিন্ন দোকান ঘরে ডাকাতি করে চলে যায়। বাধ খোলে পাহারাদাররা ভোর ৬টার দিকে মার্কেট ম্যানেজার দিলিপ দিলীপ কুমারকে খবর দিলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এসময় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই প্রহরিকে আটক করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে এডিশনাল এসপি হাবিবুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া বলেন, এ ধরনের ঘটনা দিরাইয়ে কখনও ঘটেনি। পাহারারদের হাত পা বেধে পিস্তল, রিভলভার দেখিয়ে বড় ধরনের এ ঘটনাকে ডাকাতিই বলা যায়। তিনি বলেন, ঘটনায় আমাদের মার্কেটের কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাদের সহযোগীতায় বাইরের লোক এ ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত কররেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
দিরাই থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, আমরা এঘটনার ক্লু উদ্ধার করতে চেষ্টা করছি। সন্দেহভাজন হিসেবে দুই প্রহরিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।