অনলাইন ডেক্স::
ঢাকার বনানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ৯টার সময় সিলেটের পাটানটুলা এলাকা থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক।
আইজিপি বাংলা সাংবাদিকদের জানান, সিলেটের জালালাবাদ এলাকার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাশের একটি দোতলা বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা থেকে পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ একটি টিম সিলেটের স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালায়।
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, জেলা পুলিশ ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বাংলা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট শহরের একটি বাড়ি থেকে বনানীতে তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
সিলেট মহানগর পুলিশ উপ কমিশনার জেদান আল মুসা (গণমাধ্যম) জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সিলেট নগরের পাঠানটুলার রশিদ মঞ্জিল থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
এদিকে দুই আসামির গ্রেফতারের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন দুই তরুণী। তারা বলেন, ‘ওরা গ্রেফতার হয়েছে, আমরা খুশি হয়েছি। তবে নাঈম (নাঈম আশরাফ) হচ্ছে মূল পিশাচ। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে ভালো হতো। তবে সাকিফকে ঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই পুরো ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
দুই তরুণীর একজন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, সে (সাদমান) সব দেখেছে, ও সব জানে। আমাদের বিপদে রেখে সে বের হয়ে যায়। ইচ্ছে করলেই পুলিশে খবর দিতে পারতো. আমাদের বাঁচাতে পারতো, কিন্তু সে তা করেনি।’ তারা বলেন, ‘আমরা বিচার চাই।’
প্রসঙ্গত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।