1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

‘মামুনুলের ৩ স্ত্রী, দুই বিয়ের কাবিন নেই’

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১, ৩.৫৮ এএম
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিন বিয়ের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন মামুনুল হক। এর মধ্যে শুধু প্রথম বিয়ের কাবিন আছে, পরের দুই বিয়ের কাবিন নেই বলে পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় একটি রিসোর্টে এক নারী নিয়ে আটকের পর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আলোচনায় আসেন তিনি। সে সময় দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ হয়। সেখানে তিনি ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন।
এদিকে মামুনুলকে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ রোববার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মামুনুল তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন।এই তিনটি বিয়ের মধ্যে একটির কাবিন করেছেন। বাকি দুইটির কাবিননামা করেননি বলে মামুনুল বলেছেন।
তদন্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, তিন স্ত্রীর মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি তার ছোট স্ত্রী। মেঝ স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা এবং বড় বা প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বা। মেঝো ও ছোট স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের কোনো কাবিননামা হয়নি বলে মামুনুল তাদের বলেছেন।
রোববার দুপুরে মামুনুলকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর রাতে তদন্ত কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) আইন অনুযায়ী, প্রতিটি বিয়ে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। কার সঙ্গে কার, কত তারিখে, কোথায়, কত দেনমোহর ধার্য, কী কী শর্তে বিয়ে সম্পন্ন হলো, সাক্ষী ও উকিলের নাম প্রভৃতির একটা হিসাব সরকারি নথিতে লিখে রাখাই হলো নিবন্ধন। বর্তমান আইন অনুযায়ী বিয়ে নিবন্ধন করার দায়িত্ব মূলত বরের। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় কাজি ও পাত্রের দুই বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় ধরনের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। যে ক্ষেত্রে কাজি বিয়ে পড়িয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে কাজি তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে নিবন্ধন করবেন। নিকাহনামা বা কাবিননামা ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিয়ে নিবন্ধন করা থাকলে তালাকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ হয়। স্ত্রীর দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায়ের জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়। সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়। কাবিননামা ছাড়া শুধু বিয়ের হলফনামা সম্পন্ন করা হলে বৈবাহিক অধিকার আদায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তবে বিয়ে নিবন্ধন না করলে বিয়ে অবৈধ হবে না।
মামুনুল পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছেন, ছোট স্ত্রীর সঙ্গে তিনি বেশি সময় কাটাতেন। তবে তাকে কবে বিয়ে করেছেন সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।
এর আগে শাহজাহান নামে গাজীপুরের এক ব্যক্তি গত ১১ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় এক সাধারণ ডায়েরিতে বলেছেন, আগের দিন ১০ এপ্রিল মামুনুল তাকে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রায় ডেকে নিয়ে বলেন তার বোন লিপিকে সে বিয়ে করেছেন। এ সময় তাকে একটি চুক্তিনামা দেখান। এর আগে ৭ এপ্রিল বোনের সঙ্গে সর্বশেষ তার কথা হয়েছিল বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
জিডিতে শাহজাহান বলেছেন, এসময় লিপি তাকে বলেছিল মোহাম্মদপুরে দিলরুবা আপার বাসায় সে আছে।
ওই জিডির বিষয়েও মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে রিসোর্টে মামুনুলের সঙ্গে থাকা দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা এবং তৃতীয় স্ত্রী লিপি মোহাম্মদপুরে অবস্থান করছেন বলে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
তারা নজরদারির মধ্যে আছে জানিয়ে সংশিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজনে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ওই সূত্র বলছে, মামুনুলের প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার বাসাও মোহাম্মদপুরে। তবে রিসোর্টকাণ্ডের পর সন্তানদের নিয়ে তিনি বাসা ছেড়েছেন। কোথায় গেছেন পুলিশ এখনও তা জানতে পারেনি।
মোহাম্মদপুর থানায় গত বছর দায়ের করা একটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সাজেদুল হক।
রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।
২০২০ সালের মার্চে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনের কর্মীদের ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!