হাওর ডেস্ক::
বহুল আলোচিত হেফাজত নেতা মামুনুল হকের গোপন বিয়ে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল জানিয়েছেন, প্রথম বিয়ে শরিয়ত বা আইনসম্মতভাবে হয়েছে। আর পরবর্তী যে দুটি বিয়ের কথা তিনি স্বীকার করেছেন সেগুলো চুক্তিভিত্তিক, কোনো কাবিননামা নেই।
আজ শনিবার দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম নিজ কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান।
মো. মাহবুব আলম বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পরের বিয়ের চুক্তিগুলো হচ্ছে স্ত্রী থাকবে কিন্তু কোনো মর্যাদা পাবে না। স্ত্রী মেলামেশা করতে পারবে কিন্তু সম্পর্কের কোনো অধিকার পাবে না। একি সঙ্গে কোনো দাবি-দাওয়া বা সন্তান ধারণ করতেও পারবে না। এ ধরনের চুক্তি প্রচলিত আইনের পরিপন্থী বলে জানান তিনি।
২০১৩ সালের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে সরকার পতনের অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হেফাজতের চক্রান্ত হয়েছিল। হেফাজতকে কাজে লাগিয়ে সরকার পতনের একটি অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এ বছর আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে যে নাশকতা হলো, সেখানে একই ধরনের আরেকটি চক্রান্ত হয়েছে।
তাছাড়া হেফাজতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ভাগ আছে বলে দাবি মাহবুবের। একটি পক্ষে উগ্রবাদের পক্ষে যাদের নাম, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।