জয়ন্ত সেন::
পুলিশ হেড কোয়াটারের এআইজি মো. আয়ুব নোয়াগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন আমাকে আইজিপি পাঠিয়েছেন আপনাদের খোঁজ খবর নিতে। আপনারা ভয় পাবেন না, পুলিশ সব সময় আপনাদের পাশে আছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন। সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি মোহাম্মদ আয়ুব।
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন বলেন বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই কথাটা, এই মূল মন্ত্রটা সামনে নিয়ে আমরা মিলেমিশে থাকবো। ভিডিও ফুটেজ দেখে এপর্যন্ত ৪৮জনকে ধরা হয়েছে। তাদেরকে কিন্তু ভিডিও ফুটেজ দেখেই ধরা হয়েছে এবং বাকিদের ধরতে একটু সময় লাগবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। ধীরেধীরে আমরা ম্যাক্সিমাম আসামীদের আইডেন্টিটিফাই করেছি। আমরা আশা করি যারা প্রকৃত আসামী ধীরেধীরে সবাইকে ধরে ফেলবো। এপর্যন্ত ১শ’ জনকে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি।
নোয়াগাঁও ১৭মার্চের সাম্প্রদায়িক হামলার ৩৭দিনের মাথায় সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন ২৪ এপ্রিল দুপুরে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদারের বাড়িতে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সিলেট রেঞ্জের এসপি জেদান আল মুছা, শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লা আল মাহমুদ, শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ নূূর আলমসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উল্লেখ, ১৫মার্চ ওই গ্রামের ঝুমন দাস হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে সমালোচনা করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৭মার্চ সকাল ৮টায় শাল্লা উপজেলার কাশীপুর, দিরাই উপজেলার নাচনী, চণ্ডীপুরসহ বেশক’টি গ্রামের মানুষ নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওইসব গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা করে উত্তেজিত হাজারো জনতা। পরে এই ঘটনায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। আসামী করা হয় ১৫শ’। এপর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৪৮জন।