হাওর ডেস্ক::
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে এবং তৃতীয় ঢেউ আরো ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণে করোনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে, দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত অনলাইন জুম অ্যাপে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি আরো বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে সামলে নিয়েছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনার মৃত্যু তিন থেকে চারজনে নেমেছিল তখন মানুষ ভেবেছিল করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষ অনিহা দেখাচ্ছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, কক্সবাজার, সিলেটসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ২৫/৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ভ্রমণ করেছে। অধিকহারে বিয়ে অনুষ্ঠান, পিকনিকসহ নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এসব কারণেই করোনার আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিনে প্রায় শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সময়মতো সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো সামনেই কমে যাবে।
দেশে মাত্র ২টি জেলা বাদে সকল জেলা থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘ম্যালেরিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দেশে ২০০৮ সালের তুলনায় এখন ৯৩ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে এবং ৯৪ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। দেশের মাত্র ২টি জেলাতে এখন ম্যালেরিয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে।’
সিডিসির পরিচালক ডা. নাজমূল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি, গ্লোবাল ফান্ডের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।