1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন

করোনার উপসর্গ থাকলে কখন কী করতে হবে, জানালেন দেবি শেঠি

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ৯.৪৯ পিএম
  • ২২৭ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক:

শতকরা ৮৫ শতাংশ করোনা রোগীদের সেরে উঠতে হাসপাতালে ভর্তি বা বিশেষ ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। বাড়িতে থেকে এবং সাধারণ কিছু নিয়ম অনুসরণ করেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন তারা।

বুধবার এক ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হয়েছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসাসেবা সংস্থা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএস) পরিচালক ডা. অমিত গুলেরিয়া, ভারতের শীর্ষস্থানীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. দেবি শেঠি ও সার্জন নরেশ ত্রিহান।
সেমিনারে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা সাধারণ ভারতীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ডা. দেবি শেঠি বলেন, ‘প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে, তবে আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান জানাব, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সতর্ক হওয়ার জন্য। যদি কারো মধ্যে করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে টেস্ট করান। যদি দ্রুত টেস্ট করানো সম্ভব না হয়ে, সেক্ষেত্রে দ্রুত পরিবারের সদস্যদের থেকে নিজেকে পৃথক (আইসোলেট) করুন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এক্ষেত্রে অক্সিমিটার খুব কার্যকর। প্রতি ছয় ঘণ্টা অন্তর আপনার অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরীক্ষা করুন। একবার পরীক্ষার পর ছয় মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন, ফের পরীক্ষা করুন।’
‘যদি আপনার অক্সিজেন স্যাচুরেশন দু’বারই ৯৪ শতাংশ থাকে, সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। যদি তার চেয়ে কম হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ, করোনা থেকে সেরে উঠতে হলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা খুবই, খুবই প্রয়োজন।

বৈঠকে ডা. গুলেরিয়া বলেন, ‘অধিকাংশ করোনা রোগীর ক্ষেত্রে যেসব উপসর্গগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো সাধারণ ঠাণ্ডাভাব, গা ব্যাথা, জ্বর, গলা ব্যাথা ইত্যাদি। কারো কারো ক্ষেত্রে পেট ফাঁপা বা পাকস্থলীর সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যেতে পারে।‘

`যেসব রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, তারা সিম্পটমিক চিকিৎসার মাধ্যমেই সুস্থ হতে পারেন। অর্থাৎ আইসোলেশন বা বিচ্ছিন্ন থাকা নিয়মিত পানি পান করা, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ও ভিটামিন ট্যাবলেট গ্রহণ— ইত্যাদির মাধ্যমেই তারা সেরে উঠতে পারেন।’
‘মাত্র ১৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট , উচ্চমাত্রার জ্বর, ডিলিরিয়াম— প্রভৃতি সমস্যা দেখা যায় এবং সেক্ষেত্রে তাদের হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।’

চলমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বর্তমানে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে ভারত। সম্প্রতি দেশটিতে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লাখের কোঠা, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বর্তমানে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে ভারত।

বৈঠকে ডা. ত্রিহান বলেন, যেসব ডাক্তার করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার দায়িত্বে আছেন, তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ বা ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার আগে রোগীর উপসর্গ ও শারীরিক অবস্থা ভালোভাবে বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা বাড়ি থেকে শুরু করতে হবে। যদি গুরুতর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং ডাক্তার যদি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থাপত্র দেন, শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা যেতে পারে।’

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!