হাওর ডেস্ক::
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাশিয়ার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি ব্যবহারে জরুরি অনুমতি দিলো ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান একথা জানান।
এর আগে সকালে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে কমিটি অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করে।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, মে মাসের মধ্যেই রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি ৪০ লাখ ডোজ দেশে আসবে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার স্পুটনিক ভি আমাদের দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল। এতে করে এই টিকা আমদানি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখন আর কোনও আইনগত বাধা রইলো না।’
এর আগে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উৎস ও সংগ্রহ সংক্রান্ত কোর কমিটি। সোমবার কমিটি তাদের এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠায় বলে জানায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
গত ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে আট সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। যারা দেশে কোন ভ্যাকসিন আনা যায়, সে বিষয়ে মতামত দেবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকা বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে এই টিকা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। প্রতি মাসে সেরাম থেকে দেশে ৫০ লাখ ডোজ আসার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ।
এরমধ্যে উপহার ভারত সরকারের উপহার হিসেবে প্রথম গত ২১ জানুয়ারি প্রথমে আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ, সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ আসে ২০ লাখ ডোজ। গত ২৬ মার্চে আসে ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ, ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।
দেশে গত সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসের ৫০ লাখ অর্থাৎ চুক্তির ৮০ লাখ টিকাই এখনও দেশে আসেনি। এপ্রিলের টিকা আসার সম্ভাবনাও এখন পর্যন্ত নেই।
ইতোমধ্যে ভারত টিকা রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতে দেশে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে টিকার স্টক ফুরিয়ে যাবে।