বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে গার্মেন ফেরত দুই কিশোরীকে চেতনানাশক পানীয় পান করিয়ে হাওরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক টমটম চালক ও তার বখাটে বন্ধু। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর কান্দাহাঁটি গ্রামের জনৈক ব্যক্তি চাঁনপুর আবুরহাঁটি গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৫) ও হরমুজ আলীর ছেলে আবুল কালামকে (২৬) অভিযুক্ত করেছেন। সোমবার রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। দুই কিশোরী বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত পেশায় টমটম চালক। তারা লকডাউনের কারণে সম্প্রতি ঢাকার গার্মেন্ট থেকে বাড়ি ফিরে আসেন।
অভিযোগে দিন মজুর উল্লেখ করেন তার কিশোরী মেয়ে ও একই গ্রামের আরেক ব্যক্তির পালিত কন্যা দুই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। করোনাকালীন লকডাউনের জন্য পরিবারের সঙ্গে তারা বাড়িতে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় পোশাক কারখানা খোলার খবরে তারা দু’জন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। বাড়ি থেকে চাঁনপুর হারুন মার্কেটের সামনে এসে অভিযুক্ত আবুল কালামের টমটমে গাড়িতে ওঠে।
এ সময় কালাম তার বন্ধু আলমগীরকেও গাড়িতে ওঠায়। ওই দুই কিশোরী জামালগঞ্জ ফেরিঘাটে এসে টমটম থেকে নামতে চাইলে টমটমচালক ঢাকার গাড়ি চলে না জানিয়ে তার গাড়িতেই বাড়িতে ফেরার কথা জানায়। বাড়ি ফেরার জন্য ওই গাড়িতে উঠলে জোরপূর্বক তাদেরকে জুসের বোতল পান করায়। জুস পান করার পরই দুই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় আলমগীর ও কালাম তাদেরকে চাঁনপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী কান্দার ক্ষীরাক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেন ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমদেরকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে তাদের স্বজনকে খবর দিলে অভিযোগকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদেরকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ওসিসিতে তারা চিকিৎসাধীন আছে।
জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল আলম জানান, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।