হাওর ডেস্ক::
দেশে রাশিয়ার প৪র এবার চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
এর আগে ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, সিনোফার্মের টিকাটি চীনসহ বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত। এই টিকার সব ডাটা আমরা পেয়েছি, সরকারিভাবে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এগুলো আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের দিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি আছে। তারা টিকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছে। আমরা দেখতে পেয়েছি এর কার্যকরী ক্ষমতা অনেক ভালো।
ঔষধ প্রশাসনের ডিজি বলেন, টিকাটি পয়েন্ট ফাইভ এমএল করে ২৮ দিনের গ্যাপে দুইবার দিতে হবে। এটার ফেজ ওয়ান ও ফেজ টু চায়নাতে হয়েছে। ফেজ থ্রি ট্রায়াল ৫৫ হাজার মানুষের ওপর বিশ্বের পাঁচটি দেশে হয়েছে। এরপর এটির নথিগুলো আমরা যাচাই করেছি, আমাদের একটি টেকনিক্যাল টিম আছে, সেখানে আমরা উপস্থাপন করেছি। গতকাল (বুধবার) আমরা এটা রিভিউ করেছি, রিপোর্টগুলো দেখেছি। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমাদের কমিটি সুপারিশ করেছে।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ৫ লাখ ডোজ চীন অনুদান হিসেবে দিয়েছে। এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই উপহারের পাঁচ লাখ টিকা পাওয়া যাবে। তারপর পর্যবেক্ষণ করে বিতরণ শুরু হবে। এরপর জি টু জি বেসিসে সরকার কেবল কিনবে।
তিনি বলেন, দেশে টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা রয়েছে ইনসেপ্টা, পপুলার এবং হেলথ কেয়ারের। চীনের টিকাও উৎপাদন হতে পারে, সরকারি পর্যায়ে কথা বার্তা চলছে। তিনটির মধ্যে শুধু ইনসেপ্টাই মাসে ৮০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম। ফলে আমরা রফতানিও করতে পারব। কাঁচামাল আসলে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু হতে পারে, আর টেকনোলজি হস্তান্তর হলে উৎপাদনে যেতে ছয় মাস সময় লাগবে।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫ এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যেই এই টিকা দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৪০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।
গত বছরের ১১ আগস্ট রাশিয়া উদ্ভাবিত করোনার টিকা স্পুটনিক-৫ এর অনুমোদন দেয় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার গামেলিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের তৈরি স্পুটনিক-৫ নামের এই টিকাটি গত ৮ সেপ্টেম্বর সে দেশের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশ এ পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে স্পুটনিক-৫ এর কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে গামালিয়া।