বিশেষ প্রতিনিধি::
এবছর সুনামগঞ্জ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদিত হবে। এরমধ্যে হাইব্রিড চাষ হয়েছে ৫৭ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। গত বছর যা ছিলো ৩৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমি। হাওরের ৯৭. ৮৫ ভাগ ও নন হাওরে ৫৬.৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এই দুই রকম জমির মোট ৮৭. ২৬ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। কথাগুলো সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের।
সোমবার (৩ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৪ টায় ধান কাটার অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভেতর হাওরের ১০০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, মোট ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর থেকে হাওরে ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৯৮ মে.টন ও নন হাওরে ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৬১২ মে.টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই দুই রকমের জমি থেকে ৯ লক্ষ ১ হাজার ১০ মে.টন চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের ধান কাটার জন্য এবছর সরকার ৭০ ভাগ ভর্তুকীতে ১১৫ কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। আরও পুরানো মেশিন ছিলো ১২৯ টি। মোট ৩০৭ টি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হয়েছে। একই পরিমাণে ভর্তুকী দিয়ে ১৯ টি রিপার মেশিন বিতরণ হয়েছে এবার। মেশিনের পাশাপাশি ২ লক্ষ ৩০ হাজার শ্রমিক ধান কেটেছে হাওরে। এবার সুনামগঞ্জের কৃষক সোনার ফসল ঘরে তুলতে পেরেছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিতি ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল হাসান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান, জেলা খাদ্য অফিসের খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ^াস, সহকারী কমিশনার মো. রিফাতুল হক সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।