লাইলাতুল কদর এর অর্থঃ লাইলা অর্থ রাত বা রজনী। কদর শব্দের অর্থঃ সম্মান ও মাহাত্ম্য। অতএব লাইলাতুল কদর এর অর্থ সম্মানিত রজনী বা মহিমান্বিত রজনী।লাইলাতুল কদরের তাৎপর্যঃ
ইসলামে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব অপরিসীম। সমগ্র জাহানের হিদায়াত ও কল্যাণের জন্য নাজিলকৃত মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এ রাতেই নাযিল হয়েছে।
কুরআনুল কারীমে আল-কদর নামে পূর্ণাঙ্গ একটি সূরা নাযিল করা হয়েছে।
উক্ত সূরায় বর্ণনা অনুযায়ী লাইলাতুল কদরের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যথাঃ
(১) এ রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
(২) এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম
(৩) এ রাতে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম ফেরেশতা দলসহ শান্তির পয়গাম নিয়ে দুনিয়ায় অবতরণ করেন।
লাইলাতুল কদর এর সময়কালঃ
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে লাইলাতুল কদরের সুনির্দিষ্ট কোনো দিন তারিখ বর্ণিত হয়নি। তবে বিভিন্ন হাদিসের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে এটাই আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয় যে,
লাইলাতুল কদর রমজানুল মোবারকের হয়ে থাকে। এবং বিশেষ করে রমজান মাসের শেষ দশকের ২১,২৩,২৫,২৭ তারিখে তথা যেকোনো বিজোড় রাতে হতে পারে। তন্মধ্যে ২৭ তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম (সঃ)বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর লাভ করতে ইচ্ছুক সে যেন শেষ দশকের সপ্তম রাত তথা ২৭ তারিখে তা তালাশ করে (বুখারী ও মুসলিম)
লাইলাতুল কদর চেনার উপায়
এ রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
নাতিশীতোষ্ণ হবে অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।
মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হবে।
সে রাতে মানুষ ইবাদত করে অধিক তৃপ্ত বোধ করবে। লাইলাতুল কদরের ফজিলতঃ
এটি বরকতময় রজনী। এরাতে সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর ফয়সালা নির্ধারিত হয়।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহ সাওয়াবের নিয়তে দাঁড়াবে, তার পেছনের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারী)
আমাদের করণীয়ঃ
এই মহামান্বিত রজনীর রহমত লাভ করতে হলে,
প্রত্যেক মুসলমানকে খালেস নিয়তে তওবা-ইস্তেগফার পড়ে আল্লাহর নিকট মাফ চাইতে হবে।
আমিন।
লেখক: শিক্ষার্থী।