ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকের কাইতকোনা গ্রামের তাজ উদ্দিনের বাড়ির পিছনের পরিত্যক্ত পুকুরে তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া নিখুজ পাপিয়া বেগম(৯)’র মৃতদেহ ভাসমান অবস্হায় পাওয়া গেছে।গত ৮ মে শনিবার ভোর আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় প্রতিদিনের মতো আম কুড়ানোর জন্য ঘর থেকে বাহির হয় পাপিয়া।সকাল ৮ ঘটিকার সময় মেয়ে তখনো ঘরে ফিরেনি দেখে পিতা আবু বকর ও মা তাছলিমা বেগমের মনে সন্দেহ ঘনীভুত হয়।মেয়ে পাপিয়াকে তারা গ্রামে এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অনেক খুঁজাখুঁজির এক পর্যায় ১০ মে সোমবার সন্ধার সময় গ্রামের তাজ উদ্দিনের বাড়ির পিছনের পরিত্যক্ত পুকুরে মৃতদেহটি ভাসমান অবস্হায় পাওয়া যায়।খবর পেয়ে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে এস আই এহতেশাম,এ এস আই মুহিবুর রহমান সহ অন্যান্য পুলিশের সদস্যবৃন্দকে নিয়ে মৃতদেহটি পুকুর থেকে তুলে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মৃতদেহটি সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্হা করেন।মৃত পাপিয়ার বাবা মা কারো বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ নাই বলে জানিয়েছেন।যে অবস্থায় মৃতদেহটি পাওয়া গেছে সেটা অপমৃত্যু নাকি হত্যা সে বিষয়টির অবস্হার খোলস উন্মোচনের জন্য পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।তাত্ক্ষণিক খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল)বিল্লাল হোসেন ও ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মৃতের পরিবার সহ গ্রামবাসীকে আশ্বস্হ করেছেন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হত্যা জনিত কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে অপরাধী যে ই হোক অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।