বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের বালু পাথর ব্যবসায়ীদের অন্যতম জনপ্রিয় জায়গায় ধোপাজান চলতি নদী৷ বৃহত্তর সুরমা নদীর শাখা হিসেবে ধোপাজান চলতি নদী থেকে বালু পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন ওই এলাকার মানুষেররা তবে বর্তমানে ইজারা না থাকায় এই নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। তবে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে প্রতিনিয়ত নদীতে ডুকছে বালু ও পাথর বোঝাই বাল্কহেড। তবে চলমান অভিযান আটক ১৫ টি বাল্কহেডকে ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ধোপাজান নদীতে আটকৃত ২০ নৌকার মধ্যে ১৫ টি নৌকার মালিককে ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, ধোপাজান নদীতে বালু উত্তোলন এখন বন্ধ রয়েছে বর্তমানে কোন ইজারাদার নেই, তাই এখানে বর্তমানে যা বালু তুলা হচ্ছে সব অবৈধ, আমাদের বিভিন্ন সময়ের অভিযানে ২০ টি বাল্কহেড আটক করা হয়েছে যার মধ্যে আমরা ১৫ টি মালিকের সন্ধান পেয়েছি এবং তাদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করি।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে, নদী থেকে কেউ অবৈধ বালু পাথর উত্তোলন করতে না পারে সেদিকে আমাদের নজরদারী রয়েছে আমরা গতকাল সন্ধ্যায়ও ৫ টি বাল্কহেড আটক করি এবং আজকে ১৫ টি বাল্কহেডকে জরিমানা করেন ইউএনও মহোদয়।