বিশেষ প্রতিনিধি, শাল্লা:
দীর্ঘ ৬ মাস অতিবাহিত হলেও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের দৌলতপুরে স্থাপিত হাজী মজু মিয়া কলেজের রাস্তার কাজ সমাপ্ত হয়নি। এতে কলেজ কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ পতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
জানা যায় নবগঠিত হাজী মজু মিয়া কলেজ উন্নয়নের স্বার্থে ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০০ মিটার এস বিবি ইট সলিং রাস্তার কাজ পান শাল্লার দীপ্ত এন্টারপ্রাইজ। গত ২০২০ সনের ডিসেম্বরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন কাজে উদ্বোধন করেন। তার পর থেকে ঢীমেতালে কালক্ষেপন করে ৬ মাসে মাত্র ২৫০ মিটার রাস্তার কাজ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক দিপক কান্তি সরকার ।
বহুদিন যাবত কাজ না হওয়ায় রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে মানুষ চালাচলতো দুরের কথা গবাদিপশু চালাচলে অনুপযোগী হয়ে পরেছে রাস্তাটি। এলাকার লোকজন বলছে, পুর্বের মাটির রাস্তাটিই ভাল ছিল, এখন যে অবস্থা, ভাল করতে গিয়ে খাড়াপ হয়েছে। কাজ যে কবে শেষ হবে কে জানে।
কথা হয় উজানগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও আটগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন আল কাউছারের সাথে। তিনি বলেন সাংবাদিক ভাই, খুব কষ্টের কথা, এলাকায় প্রতিষ্টিত নবগঠিত হাজী মজু মিয়া কলেজের রাস্তাটি অদ্যাবদি অর্ধেক কাজ ও হয়নি। এতে আমাদের এলাকায় আলোচনা সমালোচনার অন্তনেই। তিনি দ্রুত রাস্তাটির কাজ সমাপ্ত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান ।
এনিয়ে হাজী মজু মিয়া কলেজের অধ্যক্ষ নওশের মনির জানান, কি আর বলবো, খুব কাটাকাটি করে কলেজের রাস্তাটি পেয়েছি, ভেবে ছিলাম রাস্তাটি সুন্দর হলে কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকাবাসীর চলাচলে সুবিধা হবে । কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য ৬ মাস পেরিয়ে গেল অথচ রাস্তার কাজ হল মাত্র ২৫০ মিটার। বাকী কাজ করার জন্য বার বার ঠিকাদার দিপক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সুফল পাচ্ছি না। এখন হতাশায় আছি কবে যে কাজটি সমাপ্ত হবে।
এবিষয়ে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন কাজটি বিলম্ব হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে কাজের অর্থ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে বরাদ্দের অর্থ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। অর্থ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছি।
এব্যপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী জানান, গত ডিসেম্বরে কলেজের ইট সলিং কাজের উদ্বোধন করেছি, এখন পর্যন্ত কাজটি সমাপ্ত না হওয়ার বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন খুব কম সময়ের মধ্যেই হাজী মজু মিয়া কলেজের রাস্তার কাজ সমাপ্ত করা হবে। এ জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবার ও ঠিকাদার দিপক সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাস্তার কাজটি খুব কম সময়ের মধ্যে শেষ করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান ।