বিশেষ প্রতিনিধি::
বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান ও প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে নিয়ে ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মারকগ্রন্থ’ বের হয়েছে। ২৯ মে শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে স্মারকগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। স্মারকগ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু ও শামস শামীম।
রমেন্দ্র তালুকদার অণুর সভাপতিত্বে ও গ্রন্থের সম্পাদক শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সংষ্কৃতিককর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লেখক সুখেন্দু সেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কোহিনূর বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ কান্দি দে, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক খলিল রহমান প্রমুখ।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন সংসদীয় রাজনীতির শিক্ষক। সংসদে তিনি উপস্থিত থাকলে প্রোজ্জ্বল থাকতো সংসদ। দেশের রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক সংকটে দিশারি হয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে গেরিলাদের এক অনন্য সাবসেক্টর টেকেরঘাট সাবসেক্টর প্রতিষ্ঠা করে অমর হয়ে আছেন। বক্তারা বলেন, প্রগতিবাদী এই নেতা আমৃত্যু সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন এক প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে বারবার জঙ্গিবাদের আক্রমণের মুখে ছিলেন। বক্তারা সংসদীয় রাজনীতির এই বরপুত্রের কর্মময় জীবন ও স্মৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে চৈতন্য। প্রচ্ছদ করেছেন বিশিষ্ট প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ। স্মারকগ্রন্থে পঙ্কজ ভট্টাচার্য, হাসান শাহরিয়ার, এটিএম মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, ড. নূরুন্নবী, তাজুল মোহাম্মদ, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, পীর হাবিবুর রহমানসহ ২৫ জন লেখক লিখেছেন। এছাড়াও গ্রন্থটিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের লেখা তিনটি রচনাসহ বেশ কিছু দুর্লভ ছবিও প্রকাশিত হয়েছে।