স্টাফ রিপোর্টার::
প্রায় তিন বছর পর আচমকা তৃণমূলের অজান্তেই গঠিত হয়েছে সনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫১ সদস্য কমিটি। তারুণ্যের অগ্রাধিকার দিয়ে গঠিত কমিটিতে সাবেক হুইপ ফজলুল হক আছপিয়ার অনুসারীদের আধিক্য রয়েছে।
গত শুক্রবার সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র নতুন কমিটির অনুমোদন দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কমিটির সভাপতি হয়েছেন সাবেক সাংসদ কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ছাত্রদল নেতা নূরুল ইসলাম নূরুল। কমিটিতে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন এমন অনেক তারকা নেতাও বাদ পড়েছেন। তবে বহু জল্পনা-কল্পনার পর কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বহিষ্কৃত সংস্কারপন্থী নেতা নজির হোসেন। নাছির উদ্দিন চৌধুরী, জয়নুল জাকেরীন গ্রপের বেশির ভাগই বাদ পড়েছেন। রাজপথের পরিচিত তারকা নেতা এটিএম মিসবাহসহ পরিচিত মুখ অনেকই বাদ পড়েছেন।
আছপিয়া ও নুরুল বলয়ের নেতা হিসেবে স্থান পেয়েছেন সহ-সভাপতি ওয়াকিফুর রহমান গিলমান, অ্যাড. মল্লিক মইন উদ্দিন সুহেল, অ্যাড. শেরেনূর আলী, আকবর আলী, ফারুক আহমেদ, সেলিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসিম উদ্দিন লালা, এটিএম হেলাল, সোয়েব আহমদ, মামুনুর রশিদ শান্ত, মনাজ্জির হোসেন সুজন, দপ্তর সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাকের।
নাছির উদ্দিন চৌধুরী, জয়নুল জাকেরীন ও নজির হোসেন বলয়ের নেতা সহ-সভাপতি দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, আব্দুল মোতালেব খাঁন, ফারুক আহমেদ, নাদের আহমদ, রেজাউল হক, আবুল মনসুর শওকত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, প্রচার সম্পাদক মইন খান ময়না স্থান পেয়েছেন।
এছাড়া কলিম উদ্দিন মিলনের অনুসারী গোলাম মাজকুর আম্বিয়া পাভেল সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন ও সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী’র অনুসারী ছাতক-দোয়ারার বেশ কয়েকজন নেতা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। প্রবাসী কয়েকজন নেতাও কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
কমটি অনুমোদনের পর থেকেই নূরুল ইসলাম নূরুলের সমর্থকরা জেলা শহরে আনন্দ মিছিল করছেন।