কামাল ভাই, শুভ জন্মদিন।
তিনি স্থিতধী, কর্মনিষ্ঠ, সময়নিষ্ঠ। তাঁকে দেখছি-দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে।যখনই চোখ যায়, দেখি- তিনি স্থির।অস্থির হাতে লেখেন। তিনি একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানের সহযোদ্ধা। তাঁর নাম মোস্তফা কামাল। আজ তাঁর জন্মদিন।তার প্রতি অতল শ্রদ্ধা জানাই।
২০০১ সালের মে মাসে তাঁর সঙ্গে হেঁটেছিলাম সিলেটের কুলাউড়ার লাঠিটিলা, গোয়াইনঘাটের পাদুয়া সীমান্তে। তখন সীমান্তে অস্থিরতা, উত্তেজনা। প্রথম আলো’য় তার সঙ্গে আমার একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল ২০০১ সালের ১৬ মে। শিরোনাম ছিল: ’আমরার জমিত আমরা কেনে যাইতাম পারতাম নায়’।ওই সময় বাংলাদেশের ভুখন্ড ’পাদুয়া’ বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে যায়। পাদুয়ার পাশের বাবুরকোনা, পান্তুমাইসহ বিভিন্ন গ্রামবাসীর কাছে পাদুয়া দখলের কাহিনী, তাদের কষ্টকথা্ আমাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। আমি প্রথম আলো ছেড়ে দেই ২০০৫ সালের অক্টোবরে। ঢাকায় কাজ করার ইচ্ছে নিয়ে সিলেট ছাড়ি। ২০০৯ সালে যোগ দেই বর্তমান কর্মস্থল দৈনিক কালের কন্ঠে।দেখি- সেই কামাল ভাই আছেন।কালের কন্ঠে তিনি বর্তমানে নির্বাহী সম্পাদক।কামাল ভাইয়ের সময়নিষ্ঠায় আমি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ।আমিও মনে করি-যারা সময়মত কাজ করেন, তারা সময় বদলানোর পরীক্ষিত ও যোগ্য যোদ্ধা। এই যোদ্ধার জন্মদিনে তাঁর পরমায়ু চাইছি। এবার একুশে গ্রন্থমেলায় তার ’অগ্নিকণ্যা’য় উঠে এসেছে ইতিহাস-কারন এটি ইতিহাসভিত্তিক উপন্যস।
নিপুণ কথাশিল্পী তিনি।বিপুল পাঠক রয়েছে তাঁর সাহিত্যের।উপন্যাসে, সায়েন্স ফিকশনে, রম্য রচনায়, কিশোর ও রোমাঞ্চকর রচনায় আস্থা বাড়ছে পাঠকের। ‘অগ্নিকন্যা’ ভিন্নমাত্রার উপন্যাস।ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস রচনার ঈর্ষণীয় দক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে তাতে। বিদগ্ধ পাঠক, খ্যাতিমান লেখকরা, আলোচকরা তা অকপটে স্বীকার করছেন। স্বীকৃতির জন্য নয়, দায়বদ্ধতার জন্য সাহিত্যের পথে হাঁটছেন তিনি। তিনি সাফল্যের বরপুত্র।তার পথচলা থেকে নবীনরাও উৎস খুঁজে পাবেন, উৎসাহ পাবেন বলে মনে করি।
-লেখক: ডেপুটি চীফ রিপোর্টার, দৈনিক কালের কণ্ঠ।