স্টাফ রিপোর্টার::
আজ ২০ জুন রোববার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পাকা ঘর উপহার দিয়েছেন। এতে স্থায়ী ঠিকানা পাবে সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন গৃহহীন মানুষগুলো। সুনামগঞ্জেও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০৯টি পরিবারও ভূমিসহ পাকা বাড়ি পেয়েছে। এতে তাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের মাত্রা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। শেখ হাসিনা পুরুষের সঙ্গে নারীকেও যৌথ মালিকানায় এই উপহার হস্থান্তর করছেন। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ৭৭১টি ঘর প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ ২০৯টি ঘরের চাবি হস্থান্তর করা হয়। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ঘরগুলোকে সাজানো হয়েছে লাল সবুজের রঙে। হাওরের বিভিন্ন গ্রামে রঙিন ঘরগুলো দেখতে অন্যরকম লাগছে। সেখানে আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র পাবার আগেই সুবিধাভোগীরা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। তাদের চোখে মুখে তৃপ্তির ঝিলিক। তারা পাকা ঘর পেয়ে বিশেষ প্রার্থনাও করছেন উপহার দাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বিধবা আফতাবুন নেসা। দিনমজুর স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। কাছা ঘরে প্রতি বর্ষায় বৃষ্টির পানি পড়তো। ঝড় তুফান আসলে সন্তানদের নিয়ে জেগে রাত কাটাতেন। কিন্তু এখন তিনি পাকা ঘরে সন্তানদের নিয়ে এক ঘুমে রাত পার করছেন। এই অসহায় নারী নিজের নামে পাকা ঘর পেয়ে খুবই খুশি।
একই গ্রামের তরমুজ আলী দীর্ঘদিন ধরে খাসভূমিতে বসবাস করছিলেন। সরকার তার দূরাবস্থা দেখে তাকেও একটি পাকা ঘর প্রদান করেছে। সেই ঘরে তিনি এখন স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।
তরমুজ আলী বলেন, আল্লায় শেখ হাসিনারে বাচাইয়া রাখউক। তাইন না দিলে কোনদিন আমার পাকা বাড়ি অইতোনা। আউরোর কান্দার ভাঙ্গা ঘরো ঝড় তুফান খাইয়া থাকতাম। অনে আমি পরিবার লইয়া সুখে ঘরো আছি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ ২০৯ জন উপকারভোগীকে ঘরের চাবি হস্থান্তর করবেন। আমরা তার প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে চাবিসহ ঘরের কাগজপত্র হাতে তুলে দেব। তিনি বলেন, অসহায় পরিবারের মানুষজন ভূমিসহ পাকা বাড়ি পেয়ে খুবই উৎফুল্ল।